বগুড়ায় আমনের বাম্পার ফলনের আশা করছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

বগুড়া ধান ক্ষেতে যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজের সমারোহ। যতই দিন গড়াচ্ছে ধান ক্ষেতের রূপ ততো বদলাচ্ছে। কার্তিক মাসে ক্ষেতে ধান গাছের থোড় থেকে ফুল শুরু হয়েছে। এরপর ধানে মিল্ক (দুধ) হবে। ধীরে ধীরে ধান পুষ্ট হবে। এক সময় ধান পেকে সোনালী আকার ধারণ করবে। কৃষক এখন সোনালী ধানের সোনালী স্বপ্ন দেখছে। তারা অপেক্ষায় আছ নতুন ধানে নবান্নে ভরে উঠবে গ্রামের পাড়া-মহল্লা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় ১লাখ ৭৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষেলর লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয। কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এবার লক্ষ্যমাত্রা কম নির্ধারণ করা হলেও প্রকৃতপক্ষে চাষ হযেছে ১ লাখ ৮২ হাজার ২৫৫ জমিতে। তাতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৫৮০ মেট্রিক টন(চাল আকারে)। ধান আকারে হবে ৭ লাখ ২৮ হাজার ৩৭০ মেট্রিকটন।

গত বছর ১ লাখ ৮৪ হাজার ২৫৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষে হয়েছিল । উৎপাদন হয়েছিল ৫ লাখ ৫৪ হাজার মেট্রিকটন(চালআকারে )। এবারের বগুড়ায় বন্যায় আমনের ক্ষতি হলেও কৃষক পুনরায় আমন রোপণ করে ঘুরে দাঁড়িযেছে। ফলে কৃষি বিভাগের বেধে দেয়া নির্ধারণের চেয়ে বেশি জমিতে আমন চাষ হয়েছে।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান