বঙ্গবন্ধুর খুনের নেপথ্যে কারা, তা শনাক্তে কমিশন হবে: আইনমন্ত্রী

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনের নেপথ্যে কারা রয়েছে তাদের শনাক্তে একটি কমিশন গঠনের চেষ্টা করা হবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন দ্বিতীয়বারের মতো আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আনিসুল হক।

‘২০০৯ সালে আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু হয়। আমরা ফিরিয়ে আনতে পারিনি, ব্যর্থ হয়েছি এটা ঠিক নয়। আমরা একটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কাজ করেছি। তবে এ প্রক্রিয়া অনেক বেশি লং হবে। আর এসব খুনি কোথায় আছেন তাদের সনাক্ত করাও একটু কঠিন । তবে বঙ্গবন্ধুর খুনের নেপথ্যে কারা দায়ী, তাদের শনাক্তে আমরা কমিশন গঠনের চেষ্টা করবো’, বলেন তিনি।

নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে দুপুরে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনা অসম্ভব নয়, তবে কঠিন। এটা নিয়ে আমরা কাজ করেছি। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনা কঠিন হওয়ার কারণও আছে। আর সেটা হলো ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে খুনের পর রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় দেশের বাইরে খুনিদের পাঠানো হয়েছে। দেশেও অনেককে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।

আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা জানেন, ২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পরও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পৃষ্টপোষকতা করা হয়েছে। এমনকি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুখ্যসচিব বিমান বন্দরে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী মেজর ডালিমের স্ত্রীর লাশ গ্রহণ করেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ হবে সুবিচার নিশ্চিত করা। সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা। তবে আমাদের কিছু কিছু সমস্যা আছে। সেগুলো আমরা নির্ধারণ করে সমাধানের চেষ্টা করবো। আমাদের গত সরকারের সময় অনেকগুলো পদক্ষেপ ছিল। সেগুলো আরও জোরদার ও সুদৃঢ় করা হবে।

এসময় আবারও তাকে আইনমন্ত্রী করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আনিসুল হক। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ