বনলতা এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী নিজে সবুজ পতাকা উড়িয়ে এবং বাসি বাজিয়ে ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের প্রথম পরিবেশ দূষণমুক্ত ট্রেনটির চলাচলের জন্য উদ্বোধন করেন।

রাজশাহী প্রান্তে অবস্থান করে সংযুক্ত ছিলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের যাতায়াতের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা দরকার। যাতে মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটে। অল্প খরচে আরামদায়ক ভাবে ঢাকার সাথে যোগাযোগের জন্য রেলের নেটওয়ার্ক উন্নত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তার সরকার। সামনে ঈদ ও পাকা আমের কথা মাথায় রেখে এই ট্রেন উদ্বোধন করছি।

এরপর ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তবে আগামী শনিবার থেকে ট্রেনের নিয়মিত বাণিজ্যিক চলাচল শুরু হবে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের নামটি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। এতোদিন ঢাকা-রাজশাহী রুটে তিনটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করত। এবার যোগ হচ্ছে বিরতিহীন ট্রেন। ট্রেন নম্বর ৭৯১-৭৯২। বনলতা ট্রেনটির ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টকার খাবারসহ এসি শ্রেণির ৮৭৫ টাকা এবং শোভন শ্রেণির জন্য ৫২৫ টাকা।

আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে এ ট্রেনের বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হবে। তবে টিকিট বিক্রি আজ থেকেই শুরু। শনি থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে সন্ধ্যা ৬টায় রাজশাহী পৌঁছবে। আর রাজশাহী থেকে সকাল ৭টায় ছেড়ে ঢাকা পৌঁছবে বেলা ১১টা ৪০মিনিটে। ট্রেনটির সাপ্তাহিক চলাচল বন্ধ থাকবে শুক্রবার।

বনলতায় থাকছে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা ১২টি নতুন বগি। এর মধ্যে শোভন চেয়ারের বগি ৭টি। যার আসন সংখ্যা ৬৬৪টি। ২টি এসি বগির আসন সংখ্যা ১৬০টি। ১৬ আসন নিয়ে একটি পাওয়ার কার ও ১০৮টি আসন নিয়ে দু’টি গার্ডব্রেক। সবমিলিয়ে ‘বনলতা’র আসন সংখ্যা ৯৪৮। এছাড়াও খাবারের জন্য থাকবে একটি খাওয়ার বগি।

তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র ও নিয়মিত যাতায়াতকারী যাত্রীরা জানায়, বাড়তি ভাড়া রাখা হলেও ট্রেনটিতে যুক্ত করা হয়েছে পুরনো ইঞ্জিন। ট্রেনটির ১৪০ কিলোমিটার গতিবেগে চলার কথা থাকলেও তা ঘণ্টায় ৯৫ কিলোমিটারের বেশি অতিক্রম করতে পারবে না।

ওয়াগন বিভাগ সূত্র জানায়, ট্রেনটিতে সংযুক্ত রয়েছে উড়োজাহাজের মতো বায়োটয়লেট। এ কারণে মলমূত্র আর রেললাইনের ওপরে পড়বে না। ট্রেনটিতে থাকছে রিক্লেনার চেয়ার। আছে ওয়াইফাই সুবিধা। প্রতিটি বগিতে রয়েছে এলইডি ডিসপ্লে। যার মাধ্যমে স্টেশন ও ভ্রমণের তথ্য প্রদর্শন করা হবে। কিন্তু থাকছে না শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোনো ধরনের স্লিপিং বার্থ।

রেল বিভাগের ভাষ্য, যেহেতু ট্রেনটি দিনের বেলা চলাচল করবে সে কারণে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বার্থের দরকার পড়ছে না আপাতত।

আজকের বাজার/এমএইচ