বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অতিরিক্ত ক্লাস

দুই দফা আগাম বন্যায় ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখার ক্ষতি হলেও তা পূরণে অতিরিক্ত ক্লাস ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষামন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গত সোমবার সচিবালয়ে এ কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

তিনি বলেন, জেএসসি পরীক্ষা ছাড়াও বন্যার কারণে অন্যান্য ক্লাসের পড়াশোনারও ক্ষতি হয়েছে। এসময় প্রতিবছরের মতো এ বছরও ১ নভেম্বর থেকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বন্যার কারণে সকল ক্লাসের পড়াশোনারই ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতিও কাটিয়ে উঠবেন আশাবাদ আশা রাখি।

এ ছাড়া আগামী বছর ১ জানুয়ারি থেকে সারা দেশের সব শিক্ষার্থীর হাতে নতুন পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, বন্যায় দেশের যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেরামত ও সংস্কার করা হবে এবং প্রয়োজন নতুন করে তৈরি করে দেওয়া হবে।

দেশের মানুষ সুন্দরভাবে ঈদ পালন করতে পারায় খুশি হয়েছেন বলেও সাংবাদিকদের জানান নুরুল ইসলাম নাহিদ।

প্রসঙ্গত, এবছর বন্যার কারণে দেশের উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোর প্রায় সাড়ে তিন হাজার স্কুল-কলেজে পাঠদান বন্ধ ছিল। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহম্মদের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ২২ জেলায় তিন হাজার ৫২৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ারখবর প্রকাশ হয়েছিল। তিনি জানিয়েছিলেন, এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সে সকল অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পূরণে অতিরিক্ত ক্লাসের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। তবে কবে থেকে এ ক্লাস শুরু হবে সে বিষয়ে মন্ত্রী কিছু জানাননি।

আজকের বাজার: আরআর/ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭