উত্তরে নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর : ভারী বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা

উত্তরবঙ্গে হু হু করে বাড়ছে নদ-নদীর পানি। প্লাবিত হয়েছে রংপুর বিভাগের বেশিরভাগ জেলা। বন্যার পানিতে ডুবে দিনাজপুরে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে শিশুসহ চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর আগে বন্যার পানিতে ডুবে আরও নয়জনের মৃত্যু হয়। পানির তোড়ে ভেসে যাওয়া কয়েকজন এখনও নিখোঁজ রয়েছে।

বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে দিনাজপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও বগুড়ায় বিভিন্ন নদীর পানি। এতে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এইসব নদ-নদীর ৯০টি স্টেশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ৮২টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৮টিতে হ্রাস পেয়েছে। সোমবার ১৪ আগস্ট বন্যা পূর্বভাস ও সতর্কীরণ কেন্দ্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

বিভিন্ন নদ-নদীর ৩০ টি পয়েন্টে পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, পদ্মা ও গঙ্গা এবং সুরমা-কুশিয়ারা নদীসমুহের পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং গঙ্গা ও পদ্মা নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি আগামী ৭২ ঘন্টায় অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘন্টায় সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।

লাগাতার বৃষ্টিতে বাংলাদেশের মতো ভারতের উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি শহরও প্লাবিত হয়েছে। ফুলে ফেঁপে উঠেছে একাধিক নদী। তিস্তা ব্যারেজ থেকে আড়াই হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছে। এই অবস্থায় ভারত থেকে নেমে আসা পানি আর ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা বন্যার আশঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে দেবে।

আজকের বাজার: এমএম/ ১৪ আগস্ট ২০১৭