বর্ণালী হত্যা মামলার আসামী মিথুনের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

চাঞ্চল্যকর বর্ণালী হত্যা মামলার আসামী মিথুন চন্দ্রের শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করছেন স্বজনরা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টা দিকে বোরহানউদ্দিন থানার সামনে মানববন্ধন করেন তারা।

এসময় মৃত্য বর্ণালীর স্বজন ব্যতিত অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সরকারি আবদুল জাব্বার কলেজের শিক্ষক-শির্ক্ষাথীরা এবং বোরহানউদ্দিনের সর্বস্তরের জনগন। তারা এই হত্যার সুষ্ঠ তদন্ত করে দ্রুত বিচারের দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গত ২ জুলাই রাতে রাজধনী বনশ্রীতে বর্ণালী মজুদার ওরফে বন্যা(২৩) নামের এক গৃহবূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামী মিথুনের বিরুদ্ধে।

রামপুরা থানার পুলিশ জানায়, বর্ণালী স্বামীর পরিবারের সঙ্গে বনশ্রী এ ব্লকের ২ নাম্বার সংলগ্ন একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে স্বামী মিথুন চন্দ্র দে ওই বাসা থেকে বর্ণলীকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় চিকিৎসক তাঁকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

বর্ণালীর বাবা বাবুল চন্দ্র মজুমদার বলেন। পাঁচ বছর আগে মিথুনের সাথে বর্ণালীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মিথুন নানা অজুহাতে বর্ণালীকে মারধর করতেন। তাঁদের দেড় বছর বয়সী একটা মেয়ে আছে। বর্ণালীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মিথুন ঘটনাটি অত্নহআত্নহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় মিথুনকে আটক করে জিজ্ঞাস বাদ করা হচ্ছে। মিথুনকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে টিভিতে অনুষ্ঠান দেখা শেষে ঘুমাতে যাওয়ার সময় তিনি তাঁর শোবার ঘরের দরজার বন্ধ পান। ডাকাডাকি করে তাঁর স্ত্রীর কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। পরে দরজা ভেঙে বর্ণীললীকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পান। এ সময় তাঁকে সেখান থেকে নামিয়ে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুস ফকির বলেন, বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মাঝে বনিবনা হচ্ছিল না। ধরনা করা হচ্ছে ঘটনাটি আত্নহত্যা নয়। এর পিছনে মিথুনের প্ররোচনা আছে।

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলেও জানায় পুলিশের এ কর্মকতা।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান