‘বর্তমান ধারায় চললে ১০ বছরে দিগুন হবে জিডিপি ‘

গ্লোবাল মানি উইক ২০১৯ উদ্যাপনের অংশ হিসেবে ২৭ মার্চ ২০১৯ তারিখে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থিবৃন্দ ডিএসই পরিদর্শন করে। তারা ডিএসই’র কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয় এবং একটি ব্রোকারেজ হাউজ পরিদর্শন করে ব্রোকারেজ হাউজের কর্মকান্ড সম্পর্কেও অবহিত হন। পরবর্তীতে ডিএসই প্রাঙ্গনে ঘন্টা বাজিয়ে গ্লোবাল মানি উইক এর কার্যক্রম শুরু করেন।
আজ ৩১ মার্চ ২০১৯ তারিখে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৭১ মিলনায়তনে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট কর্তৃক আয়োজিত গ্লোবাল মানি উইক ২০১৯ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে. এ. এম. মাজেদুর রহমান বলেন, ২০ বছর আগে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ছিল ৫০ বিলিয়ন ডলার, যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭৫ বিলিয়ন ডলারে। আর এটি সম্ভব হয়েছে ছোট ছোট সঞ্চয়কে বিনিয়োগে রূপান্তর করার মাধ্যমে। বাংলাদেশে বর্তমান জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ। এই হারে যদি দেশের জিডিপি বাড়তে থাকে তবে আগামী ১০ বছরে অর্থনীতির আকার দাঁড়াবে ৫০০ বিলিয়ন ডলার। আর এটি করতে হলে আমাদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয়কে বিনিয়োগে পরিণত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের একটি বড় সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাটা অর্থনীতির সাথে ওতোপ্রোৎভাবে জড়িত বলেই দেশের পুঁজিবাজারে বিশ্বের বড় অর্থনীতির দেশগুলো বিনিয়োগে এগিয়ে আসছে। বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতির সম্ভাবনাময় এই খাত দেশের পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিতে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
সমাপনী ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের উপদেষ্টা এস কে সুর চৌধুরী। ড্যাফোডিল পরিবার ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মোহাম্মদ আলী, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও নাগরিক টেলিভিশন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুন নূর তূষার এবং ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ ব্যাংকের উপদেষ্টা এস কে সুর চৌধুরী গ্লোবাল মানি উইক এর বিষয়ে আরও বেশি সভা, সেমিনার, মেলা, ওয়ার্কশপ, সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান ও টক শো এর আয়োজন করার গুরুত্বারোপ করেন।

“সেইভ লার্ন আর্ন” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সপ্তাহব্যাপী (২৪-৩১ মার্চ) গ্লোবাল মানি উইক ২০১৯ পালিত হয় সারা বিশ্বে। বিশ্বের ১৩৭ টি দেশের সাথে তাল মিলিয়ে “সেইভ লার্ন আর্ন” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সপ্তাহব্যাপী এ উৎসব আয়োজন করছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট। স্টক এক্সচেঞ্জসমূহ এ কর্মসূচিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পৃক্ত ‘রিং দি বেল এরাউন্ড দি ওর্য়াল্ড, (সারা বিশ্বে ঘন্টা বাজাও) প্রোগ্রামের মাধ্যমে। এর ফলে তরুনদের প্রতি, তাদের স্বপ্নের প্রতি এবং তাদের আর্থিক ভবিষ্যতের প্রতি স্টক এক্সচেঞ্জের দায়বদ্ধতা প্রকাশ পায়। বৈশ্বিক মুদ্রা সপ্তাহ বিশ্বকে ঘনিষ্টতর করে চারটি বিষয়ের নিশ্চয়তার মাধ্যমে, প্রত্যেক শিশুর যেন আর্থিক সেবায় প্রবেশাধিকার থাকে (যেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক স্কুল ব্যাংকিং কর্মসূচির মাধ্যমে তা করছে), শিক্ষার মাধ্যমে তরুনদের আর্থিক সচেতনতা বৃদ্ধি (যেখানে স্টক এক্সচেঞ্জ তার বিনিয়োগকারী সচেতনতা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তার দায়িত্ব পালন করছে); তরুনদের জন্য আয়ের একটি নির্ভরযোগ্য উৎসের ব্যবস্থা করা (যেখানে স্টক এক্সচেঞ্জ সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের মাধ্যমে আয়ের ব্যবস্থা করে); এবং তরুনদের সঞ্চয় স্পৃহা বাড়ানো (যেখানে স্টক এক্সচেঞ্জ সাধারণ মানুষের ক্ষুদ্র সঞ্চয়কে বিনিয়োগে রূপান্তরের অবকাঠামোর ব্যবস্থা করে)।