বহুল প্রতীক্ষিত ডাকসু নির্বাচন আজ

দীর্ঘ ২৮ বছরের প্রতীক্ষা শেষে আগামীকাল সোমবার (১১ মার্চ) হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচন। তাই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উন্মুখ হয়ে আছে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ।

চিরচেনা টিএসসি এখন উৎসবের রঙে রঙিন। কারণ আজ বহু প্রতীক্ষিত ডাকসু নির্বাচন। শিক্ষার্থীরা তো বটেই পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারই মুখিয়ে আছে নির্বাচন নিয়ে।

এবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার পরিষদসহ অন্যান্য সংগঠন এবং স্বতন্ত্র জোট মিলে মোট ১৩টি প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর বাইরে বিভিন্ন পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও রয়েছেন। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা অনুসারে ডাকসুর ২৫টি পদের বিপরীতে লড়বেন ২২৯ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ২১ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৪ এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১৩ প্রার্থী। এ ছাড়া স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ৯ জন, কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ৯ জন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, সাহিত্য সম্পাদক পদে ৮ জন, সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ১২ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১১ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১০ জন ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর বাইরে ১৩টি সদস্য পদের বিপরীতে লড়বেন ৮৬ প্রার্থী। এ ছাড়া ১৮টি হল সংসদে ১৩টি করে ২৩৪ পদের বিপরীতে প্রার্থী রয়েছেন ৫০৯ জন। প্রত্যেক ভোটার কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫টি এবং হল সংসদে ১৩টি পদে একটি করে মোট ৩৮টি ভোট দিতে পারবেন। এ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪৩ হাজার ২৫৬ জন।
১৮ হলের ৫১১ বুথে চলবে ভোট গ্রহণ।রোববার (১০ মার্চ) সকাল থেকেই ১৮টি হলে শুরু হয় যায় বুথ তৈরির কাজ। প্রতি ১২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য তৈরি হয়েছে একটি বুথ। একজন শিক্ষার্থী ভোট দেবেন ৩৮টি ক্যাটাগরিতে। আর সে কারণে তারা কমপক্ষে সময় পাচ্ছেন ৭ মিনিট।

দুপুরের মধ্যে বুথগুলো তৈরির পরপরই শুরু হয় সরঞ্জামাদি বিতরণের কাজ। হলগুলোতে ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার বুঝিয়ে দেওয়া হয় হল প্রশাসনকে।

হাজী মোহাম্মদ মুহসীন হল প্রভোস্ট নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘ডাকসুর জন্য একটা বক্স থাকবে এবং হল সংসদের জন্য আরেকটি বক্স থাকবে। ভোটাররা যখন ভোট দিয়ে যাবে তখন আমাদের দুইজন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবে।’
প্রক্টর জানিয়েছেন, সব প্রস্তুুতি সম্পন্ন করেছেন তারা। নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকছে। এছাড়া রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ক্যাম্পাস এলাকায় ঢুকতে পারবেন না বহিরাগতরা।

 

আজকের বাজার/মিথিলা