বাংলাদেশের বোলারদের উন্নতিতে সন্তুষ্ট ডোমিঙ্গো

বাংলাদেশের পেস বোলিং বিভাগ নিয়ে মাথাব্যাথা থাকলেও, দলের প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর বিশ্বাস সম্প্রতি টাইগাররা একটি ভালো বোলিং গ্রুপ পেয়েছে। এদেরকে ভবিষ্যতের জন্য ভালোভাবে গড়ে তোলা সম্ভব।

তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, আবু জায়েদ রাহি, এবাদত হোসেন ও অন্যান্য বোলারদের কথা উল্লেখ করে ডোমিঙ্গো জানান, তারা এমন ধরনের বোলার, ক্রিকেটের যেকোন ফরম্যাটে খেলার সার্মথ্য রাখে এবং আরও উন্নতি করতে পারলে তারা যেকোন পরিস্থিতিতে আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হবে।

ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ডোমিঙ্গো বলেন, ‘আমি মনে করি, পেসারদের নিয়ে ভালো একটি গ্রুপ গড়ে তোলা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এবাদত-রাহি-তাসকিন-মুস্তাফিজ-খালেদ ও আল-আমিন রয়েছে। আমরা ৬-৭ জনের একটি গ্রুপ গড়ে তুলছি, যারা সব ফরম্যাটেই খেলতে পারে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশে ও বিদেশের মাটিতে ভালো করতে পারে।’

বিশেষভাবে তাসকিনের কাজে সন্তুস্ট ডোমিঙ্গো। দুর্দান্ত পেসার হওয়া সত্বেও ফিটনেস ও ধারাবাহিকতার কারনে নিজের প্রতিভাকে তুলে ধরতে পারেননি তাসকিন।
লকাডাউন চলাকালীন তাসকিন কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং নিজেকে ফিট করে তুলেছেন, যা ডোমিঙ্গোর কাছে প্রশংসনীয়।

তিনি বলেন, ‘তাসকিন কঠোর পরিশ্রম করেছে, যা আমাকে মুগ্ধ করেছে। সে ফিট হয়ে ফিরে এসেছে।’
মুস্তাফিজের প্রশংসা করে ডোমিঙ্গো জানান, নতুন বলের সাথে মানিয়ে নিতে কঠোর পরিশ্রম করেছে ফিজ। গেল কয়েক বছর ধরে, ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করনে দারুন দক্ষতা প্রমান করেছে সে, কিন্তু বড় ফরম্যাটে যোগ্যতা অনুযায়ী তেমন কিছু করতে পারেনি সে। তবে টেস্ট বোলার হিসেবে মুস্তাফিজকে গড়ে তুলতে বোলিং কোচ ওটিস গিবসন অনেক কাজ করেছে।

ডোমিঙ্গো বলেন, ‘মুস্তাফিজ নতুন বলে মানিয়ে নিতে অভ্যস্ত হয়েছে। ভালো কিছু লক্ষন দেখিয়েছে সে। আমরা এখনো রাহি ও এবাদতকে দেখিনি, যারা লকডাউনে ছিলো। খালেদও উন্নতি করেছে। আমি এটিও মনে করি, তরুণ হাসান মাহমুদের ভালো ভবিষ্যত রয়েছে।’

তিনি আরও জানান, ‘আমাদের যদি এমন বোলার থাকে, যারা ঘরে ও বিদেশের মাটিতে ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখতে পারবে, তাতে এটি আমাদের অনেক প্রতিযোগিতায় পরিণত হতে সহায়তা করবে। এই মূর্হুতে আমরা মনে করি, একটি বোলিং গ্রুপ গড়ে তুলতে আমরা সঠিক পথেই আছি।’