বাংলাদেশে মানসম্মত কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিশ্বব্যাংকের ২৫০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন

বাংলাদেশে আরও মানসম্মত ও ভালো বেতনের চাকরিরক্ষেত্র সৃষ্টিতে সরকারকে সহায়তার জন্য বৃহস্পতিবার ২৫০ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

ওয়াশিংটন-ভিত্তিক ঋণ সংস্থাটি জানায়, নারী, যুবক ও প্রান্তিক মানুষসহ নাগরিকদের জন্য আরও ভালো ও উন্নতমানের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বাধা দূর করতে একটি শক্তিশালী নীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো বিকাশের জন্য বাংলাদেশকে সহায়তা করার লক্ষ্যে কাজ করছে ‘দ্য প্রোগ্রামমেটিক জবস ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট’।

বাংলাদেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও সাম্প্রতিক বছরে সৃজনশীল চাকরিক্ষেত্র সৃষ্টির গতি কমেছে। ২০০৩-১০ অর্থবছরে চাকরি বৃদ্ধির হার ২.৭ শতাংশ থেকে ২০১০-১৬ সালে ১.৮ শতাংশে নেমে এসেছে।

বিশেষ করে নারী, প্রান্তিক অঞ্চলের সংখ্যালঘু মানুষ এবং যুবকরা মানসম্মত চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে চাকরিক্ষেত্রের চ্যালেঞ্জ আরও বেড়েছে। কারণ অ-কৃষিজ খাতে কর্মসংস্থানের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের জন্য বিশ্বব্যাংক কান্ট্রি ডিরেক্টর কিমিয়াও ফ্যান বলেন, ‘প্রবৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য হ্রাসের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছে, কিন্তু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে সাথে চাকরি বৃদ্ধির হার সামঞ্জস্য রাখছে না। উচ্চ মধ্যম আয়ের অবস্থা অর্জনের জন্য একটি দেশের আরও বেশি এবং মানসম্মত চাকরিক্ষেত্র সৃষ্টি করা পূর্বশর্ত।’

অর্থনীতির উন্নয়নে প্রতি বছর শ্রমশক্তিতে প্রবেশের জন্য ২.২ মিলিয়ন তরুণদের জন্য চাকরিক্ষেত্র সৃষ্টি করা প্রয়োজন। এছাড়া শ্রমবাজারে প্রবেশের জন্য নারীদের আরও আকৃষ্ট করা প্রয়োজন। এই কর্মসূচি বাণিজ্য ও বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকে আরও উজ্জীবিত করতে, শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা জোরদার করতে এবং প্রান্তিক জনগণের জন্য চাকরিতে প্রবেশে সহায়তা করতে সমর্থন করে।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য প্রথম উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে বিশ্বব্যাংক অন্যতম ছিল। বিশ্বব্যাংক সেসময় থেকে বাংলাদেশকে ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অনুদান এবং বিনাসুদে ঋণপ্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/এমএইচ