বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের উপযোগী পরিবেশ: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল। তাই এখন বিনিয়োগের উপযোগী পরিবেশ রয়েছে।

সোমবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত আরুনরাং ফথোংয়ের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি এ কথা বলেন।

একইসঙ্গে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাসও দেন কৃষিমন্ত্রী। এসময় থাই সরকার ও সেখানকার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে কৃষি প্রক্রিয়াজাতসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

কৃষিক্ষেত্রে থাইল্যান্ডের প্রযুক্তি ব্যবহারের সহায়তা চেয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে বিগত বছরগুলোতে বাণিজ্য সম্পর্ক বেশ জোরদার হয়েছে। এর আগে দু’দেশের মধ্যে কৃষিখাতে সহযোগিতা বাড়ানো এবং সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার লক্ষ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

থাইল্যান্ড পর্যটন ও চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে পারে।

এরইমধ্যে থাইল্যান্ডের বিপুল সংখ্যাক বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে বিনিয়োগের ইচ্ছা পোষণ করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অনেকেই বিনিয়োগ করেছেন। একইসঙ্গে থাইল্যান্ডের পণ্য ও সেবার প্রতিও বাংলাদেশিদের আগ্রহ রয়েছে। তাই থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

থাইল্যান্ডকে ভিসা জটিলতা দূর করতে আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে বহু পর্যটক থাইল্যান্ডে ভ্রমণ করে। যদি ভিসার সমস্যা সমাধান করা যায় তাহলে দু’দেশের বাণিজ্যক সম্পর্ক আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত আরুনরাং ফথোংয় বলেন, বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি দেশ। বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ দেশ।

থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে ৩২টি থাই কোম্পানি বাংলাদেশে সরাসরি বিনিয়োগ করেছে।

ভিসা জটিলতা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রতিদিন ৮ শ’ আবেদন জমা পড়ে। আমাদের লক্ষ্য তিন কার্যদিবসের মধ্যে ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করা। তবে যথাযথ কাগজপত্র না থাকা ও ভিন্ন মাধ্যমে আবেদনের কারণে ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে সময়ক্ষেপণ হয়।

আজকের বাজার/এমএইচ