বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালায় আসছে পর্যটন খাত

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে পর্যটন খাত। বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবসার যে খাতগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে নীতিমালা তৈরি করে সেই নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে এই খাতটি।

শনিবার ২৯ এপ্রিল রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে পর্যটন বিষয়ক মাসিক পত্রিকা ভ্রমণ ও বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ড আয়োজিত ‘পর্যটনবর্ষে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে এই ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. আবু হেনা রাজী হাসান।

অনুষ্ঠানে তিনি পর্যটনখাতে ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অধিকতর সংযুক্তি ও সহযোগিতায় বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় সকল পদপে নেবে বলে আশ্বাস দেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প গত ৩ বছরে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে; যা অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করতে সম হয়েছে।

বাংলাদেশ টুরিস্ট পুলিশের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা ছিলো ৯৮ ল বা প্রায় ১ কোটি। পরিসংখ্যান অনুযায়ি একজন টুরিস্টের আগমনে ১১টি কর্মসংস্থান সৃস্টি হয়। সেই হিসাবে প্রত্য এবং পরোভাবে ১১ কোটি মানুষের জীবন জীবিকার উপল্য ছিলো বাংলাদেশের পর্যটন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে ১ কোটি ৩০ লাখ প্রবীণ আছেন। এই প্রবীণদের একটা বড় অংশ দেশের মধ্যে ভ্রমণ করতে চান, তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় ভ্রমণের সুযোগ করে দেওয়া গেলে সেটিও অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে। বাংলাদেশের পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জনে বিশেষ জোর দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান এবং সাবেক সচিব আরস্তু খান, পর্যটন পত্রিকা ভ্রমণ এর সম্পাদক আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা ড. মো: নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অপরূপ চৌধুরি, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ এর গবেষক ড. তৌফিকুল ইসলাম খান, পাটা বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান শাহিদ হামিদ, টোয়াব সভাপতি তৌফিক উদ্দিন আহমেদ এবং সোশাল ইসলামি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএমএম ফরহাদ বক্তব্য রাখেন।

আজকের বাজার: আরআর/ ২৯ এপ্রিল ২০১৭