বাংলাদেশ ব্যাংক কৃষি ঋণ বিতরনের লক্ষ্যমাত্রা ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে কৃষি ও গ্রামীন ভিত্তিক ঋণ বিতরনে লক্ষ্যমাত্রা ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি করে ২৪ হাজার ১২৪ কোটি টাকা নির্ধারণ করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসএম মনিরুজ্জামান আজ প্রধান কার্যালয়ে এক সভায় কৃষি ও গ্রামীন খাতে ঋণ বিতরন নীতিমালা ঘোষণাকালে একথা বালেন।
বিগত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে এই লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১ হাজার ৮শত কোটি টাকা।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী সরকারি বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো ১০ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশী ব্যাংকসমুহ ১৩ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা বিতরন করবে।
তিনি বলেন, নির্ধারিত টার্গেট পূরণ করা ব্যাংকগুলোর পক্ষে সম্ভব। কারণ, বিগত বছরে ব্যাংকগুলো লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি ঋণ বিতরণ করে। যাতে টাকার পরিমান ছিল ২৩ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা।
এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কথা মাথায় রেখে এই নীতিমালা গ্রহন করা হয়েছে। নীতিমালার মধ্যে দারিদ্র বিমোচন, নিরাপদ ও পুষ্টিমান খাদ্য নিশ্চিত এবং জনগণের সু-স্বাস্থ্য বজায় রাখার কথাটি ভাবা হয়েছে।
নিরাপদ খাদ্য ও টেকসই কৃষি ঋণ পদ্ধতি প্রবর্তনের জন্য নতুন কয়েকটি ধারনা ঋণ নীতিমালায় অন্তভুক্ত করা হয়েছে।
মাইক্রো ফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানের সাথে সরাসরি সংযোগ হ্রাস করে ঋণ প্রদান প্রতিষ্ঠানের মাঠ পর্যায়ের শাখা ও এজেন্ট ব্যাংকিং থেকে ঋণ প্রদান, কাজু বাদাম চাষে ঋণ, রামবুটান ফল চাষ ও আলু চাষে ঋন প্রদানের বিষয়টি নীতিমালায় অন্তভুক্ত করা হয়েছে।
শস্য ঋণ প্রদান করা হবে, তবে, নতুন বা পুরাতন শস্য ঋন ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি বিতরন করা যাবে না।
সাধারণ সময়ে ঋণ ফেরত ও বিতরন পুনঃতফসিলীকরণ, একর ভিত্তিক জমিতে শস্য ঋণ বিতরন, গাভী, ছাগল , মেষ ও গবাদিপশুর ঋণের বিষয়টি নীতিমালায় অন্তভুক্ত করা হয়েছে।
বিগত আর্থিক বছরে ৩৮ লাখ ৮৩ হাজার ৪২৪ জন ঋণ সুবিধা ভোগ করেছে। এর মধ্যে ১৫ লাখ ১ হাজার ৮৫৬ জন নারীকে মোট ৭ হাজার ১৯০ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে।
বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ২৯ লাখ ৮৯ হাজার ২৩৭ জন কৃষক মোট ১৬ হাজার ৩২২ কোটি টাকার ঋণ গ্রহন করেছেন।
এছাড়া চর, হাওর ও কম উন্নত এলাকাতে ৯ হাজার ৯৫০ জন কৃষকের মধ্যে ৩১ কোটি ৬১ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।