বাজার ব্যবস্থাপনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক নিয়মিত বাজার পরিদর্শন অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন,বাজার ব্যবস্থাপনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য। তিনি বলেন, বাজারে সুশাসন না থাকলে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের উপযুক্ত মূল্য পাবে না। আর ন্যায্য মূল্য না পেলে ফসল উৎপাদনেও কৃষক আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। তাই নিয়মিত বাজার পরিদর্শন অব্যাহত রাখতে হবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন,‘উৎপাদক হতে ভোক্তা পর্যন্ত কৃষিপণ্যের দামের তারতম্য বেশি হওয়ার কারণ বের করতে হবে। তাহলেই এব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া যাবে। এই এক বছরে আমরা কে কি করেছি তার হিসেব সবাইকে দিতে হবে।’ড. আব্দুর রাজ্জাক আজ সোমবার বাংলাদেশ কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমিতে(নাটা)‘কৃষক-উদ্যোক্তা বাণিজ্যিক কৃষির উদীয়মান চালক’শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান।

এর আগে মন্ত্রী একাডেমির নব নির্মিত ট্রেনিং সেন্টারের উদ্বোধন করেন। আগাম বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন কম হয়েছে উল্লেখ করে ড. রাজ্জাক বলেন, সময়মত পেঁয়াজের উৎপাদন, চাহিদা ও ঘাটতি নিরুপণ করে প্রকৃত তথ্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানালে তারা ব্যবস্থা নিতে পারতো।

তিনি বলেন, কৃষির সাফল্যে আত্মতুষ্টির কোন কারণ নেই। কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ করতেই হবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষক প্রয়োজনে বা লাভের জন্য নানা রকমের মূল্যবান ফসল আবাদ করছে। এখন আমাদের দায়িত্ব কৃষককে লাভবান করতে বাজার সৃষ্টি ও রপ্তানি করা।

বাণিজ্যিক ফুলচাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে যশোরে একটি টিস্যু কালচার সেন্টার স্থাপন করা হবে বলে মন্ত্রী জানান। ড. রাজ্জাক উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন,মাশরুম চাষ কেন বৃদ্ধি পাচ্ছে না? রপ্তানিতে কি সমস্যা তা আপনাদেরকেই বলতে হবে। কৃষকের কাছে যেতে হবে এবং বাজার সৃষ্টি করতে হবে। তিনি বলেন,বাজারজাত না করতে পারলে কোন উৎপাদনই টেকসই হবে না।

কৃষিমন্ত্রী বলেন,দেশে এখন শান্তিময় পরিবেশ বিরাজ করছে। তাই স্ব-স্ব আবস্থান থেকে দেশ সেবায় সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি আন্তরিকভাবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান। কৃষি সচিব বলেন, সময়ের সাথে সাথে পেশার মর্যাদার পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের কৃষকরা সবচেয়ে বেশী উৎপাদন করে ধান,তাই ধান বা চাল রপ্তানি না করা হলে কৃষক উৎপাদনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। আমাদের চাষ পদ্ধতি সমলয় করতে পারলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং উৎপাদন খরচও কমবে।

নাটা’র মহাপরিচালক ড. মো. আবু সাইদ মিঞার সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল মূঈদ বক্তৃতা করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমিরেটাস প্রফসর ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এম. এ সাত্তার মন্ডল। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান