‘বাজেটের কাঠামোগত পরিবর্তন প্রয়োজন’

এসডিজি বাস্তবায়ন করতে হলে বাজেটের আকার বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলেন, এ জন্য চলমান বাজেট কাঠামো পরিবর্তন প্রয়োজন।

রোববার (২৪ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘সিপিডি বাজেট সংলাপে’ এরূপ মন্তব্য করে সংস্থাটি।

এতে সভাপতিত্ব করেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবাহান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। এছাড়াও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা সংলাপে অংশ নেন।

সংলাপের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, সঞ্চালনা করেন সংস্থার সম্মানিত ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান।

মুক্ত আলোচনায় এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশ ও ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়ন করতে হলে বাজেটের আকার বাড়বে। তেমনি এর যোগানের লক্ষ্যে রাজস্ব বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার জরুরি। তা না হলে বাজেট বাড়লেও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে।

এনজিও প্রতিনিধি খন্দকার আরিফুল ইসলাম বলে, বাজেটে প্রতিবারই ৫-২৫ শতাংশ বাড়ছে। ১৯৫৮ সালের কাঠামোতে এখন পর্যন্ত কোন পরিবর্তন আসেনি। তাই আকার বাড়ানোর সঙ্গে কাঠামোগত পরিবর্তন জরুরি।

সিপিডির সম্মানিত ফেলো রওনক জাহান বলেন, অনেকে এবারের বাজেটকে নির্বাচনী বাজেট বলেছেন। দারিদ্র্য মানুষের জন্য প্রতিবার বরাদ্দ থাকে। সামাজিক সুরক্ষায় বাজেট বাড়ছে। এটি সত্য হলেও এদিয়ে ভোটার টানা যাবেনা। সরকারের নয় বছরে সাধারণ মানুষের বৈষম্য বেড়েছে। ফলে এ বাজেটে ভোটার আকৃষ্ট করার কিছু নাই’।

অতিথিদের বক্তব্যে এমসিসিআই প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার নিহাদ কবির বলেন, দেশে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ স্থবির হয়ে আছে। কারণ ব্যবসায় ব্যয় বাড়ছে। সরকারি অফিসে সময় বেশি লাগছে, ওয়ান স্টপ সার্ভিসের কথা বলা হলেও তা দেখা যাচ্ছে না। এছাড়া সরকারে নীতির ধারবাহিকতা না এবং ব্যবসায়ীরা কর জটিলতার জন্য সবসময় ভয়ে থাকে। এসব বিষয়ে সরকারের নজর থাকা দরকার। বাজেট বাস্তবায়নে কর আদায় সহজীকরণ, প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

আরএম/