বান্দরবানে চলছে আধাবেলা হরতাল

বান্দরবান পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর চথোয়াইমং মার্মাকে হত্যার প্রতিবাদে রোববার (২৬ মে) বান্দরবানে চলছে আধাবেলা হরতাল।

হরতাল চলাকালে জেলা শহর থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনও যানবাহন। শহরের অভ্যন্তরীণ রুটে অটোরিকশা মোটরসাইকেল চলাচলও বন্ধ আছে।

বান্দরবান-কক্সবাজার-রাঙামাটিসহ অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

রোববার সকাল থেকেই জেলা আওয়ামী লীগ’সহ সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা শহরের ট্রাফিকমোড়, বাসস্ট্যান্ড ও বান্দরবান-কেরানীহাট প্রধান সড়কের সুয়ালকসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে সড়কে গাছ-সাইনবোর্ড ফেলে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে হরতাল পালন করছে।

এদিকে জেলার ৭টি উপজেলা গুলোতেও হরতাল পালিত হচ্ছে। হরতাল চলাকালে জেলা সদর ও দেশের অন্যান্য স্থানের সাথে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এর আগে শনিবার (২৫ মে) রাতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

এদিকে এ ঘটনায় জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) যুগ্ম সম্পাদক ও পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং মার্মাসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটক হওয়া অন্য চারজন হলেন- জেএসএস’র জেলা সাধারণ সম্পাদক ক্যাবা মং মার্মা, মৌজা হেডম্যান থৈলাপ্র মার্মা ও জর্ডান পাড়ার মংহ্লা ত্রিপুরা।

বান্দরবান সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, আটকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তীতে আইনি সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

গেল বুধবার রাতে জেলার উজির মুখপাড়ার খামারবাড়ী থেকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চথোয়াইমং মার্মাকে অপহরণ করে। পরে তিনদিন পর শনিবার জর্ডান পাড়া এলাকা থেকে পুলিশ তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।