বিএনপির আন্দোলন নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের বিশ্লেষণ!

বিএনপির আন্দোলনের কোনো ত্রুটি নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কিন্তু জনগণ তাদের আন্দোলনে সাড়া দিচ্ছে না। এজন্য তারা অফিসে বসে ভাঙা রেকর্ড বাজাচ্ছেন। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি খালেদা জিয়া ছাড়া নির্বাচনে আসবে না, তারা এভাবে যে ভাঙা রেকর্ড বাজাচ্ছেন, এতে লাভ হবে না। তারা না আসলেও নির্বাচনী ট্রেন তাদের জন্য থেমে থাকবে না। দেশের সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে। এটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা।

কাদের বলেন, বিএনপি খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে আসবে না এটা তাদের সিদ্ধান্ত। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। নির্বাচনে আসার বিষয়টি তাদের অধিকার। সেটা যদি তারা না চায় তাহলে এখানে সরকারের কিছু করার নেই। তবে তারা না আসলে সরকার কেন তাদের অনুরোধ করবে? এটা নির্বাচন আসলে বলা যাবে। তবে সরকার এ ধরনের কোনো উদ্যোগ নেবে না। তবে যদি কেউ নির্বাচনে আসতে চায় তাহলে তাকে তো আর কেউ আটকে রাখতে পারবে না।

তিনি বলেন, জাতীয় সংসদে বিএনপির প্রতিনিধিত্ব না থাকায় তাদের নির্বাচন কালীন সরকারের টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাদের আর কোনো প্রস্তাবও দেওয়া হবে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেটি ছিল ওপেন সিক্রেট। সবাই জানেন। তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এবার সাংবিধানিকভাবেই নির্বাচন কালীন সরকারে মন্ত্রী হিসেবে তাদের আর থাকার সুযোগ নেই।

কাদের বলেন, বিএনপি আগেও নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে, জনগণ তা হতে দেয়নি। এবারও তাদের প্রতিহত করবে জনগণ। তারা কখনই দেশে নির্বাচন বন্ধ করতে পারবে না। ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচন প্রতিহত করতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে। কানাডার আদালত তাদের সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। এবার নির্বাচনে তারা এমন চেষ্টা করলেও সন্ত্রাসী দল হিসেবে নাম মুছতে পারবে না।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের সমালোচনা করে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী সত্য কথা বললেই বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়। তারেক রহমান দুর্নীতিগ্রস্ত একজন ব্যক্তি। আদালত তাকে দুর্নীতির দায়ে সাঁজা দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গ্রেফতারের আগে তাড়াহুড়া করে তাদের সংবিধানের ৭ ধারা সংশোধন করেছেন শুধুমাত্র তারেক রহমানকে দলের প্রধান করতে। ফলে এ থেকে প্রমাণিত হয়েছে বিএনপি একটি দুর্নীতিগ্রস্ত একটি দল।

এস/