বিএনপি নেতাদের লেনদেনের তথ্য চেয়ে ৭ ব্যাংকে চিঠি দিয়েছে দুদক

বিএনপির শীর্ষ আট নেতাসহ ১০ জনের সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য চেয়ে ৭ ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার, ৪ এপ্রিল দুদকের উপপরিচালক সামছুল আলম সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোতে আলাদা আলাদা চিঠি পাঠিয়েছেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা তাদের বিভিন্ন সময়ের লেনদেনের স্টেইটমেন্ট চেয়েছি।

এর আগে সোমবার দুদকের উপ-পরিচালক ঋত্বিক সাহা স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে বিএনপি নেতাদের ‘সন্দেহজনক’ লেনদেন অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, ৩০ দিনে তাদের একাউন্ট থেকে মানিলন্ডারিং ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ‌্যমে ১২৫ কোটি টাকা লেনদেনসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

যেসব ব্যাংকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো এইচএসবিসি, স্ট‌্যান্ডার্ড চার্টার্ড, ডাচ-বাংলা, ন‌্যাশনাল, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, আরব বাংলাদেশ ও ঢাকা ব‌্যাংক। চিঠিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যাবতীয় হিসাবের বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।

সন্দেহজনক লেনদেনে অভিযুক্ত বিএনপি নেতারা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির চার সদস্য- খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মির্জা আব্বাস; দুই ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ও এম মোর্শেদ খান; যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে ও দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল। এ ছাড়া এম মোর্শেদ খানের ছেলে ফয়সাল মোর্শেদ খানের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান হচ্ছে।

দুদক ১২৫ কোটি টাকার ‘সন্দেহজনক’ লেনদেনের কথা বললেও বিএনপি নেতারা বলছেন, তাঁদের চাপে রাখতেই সরকারের কৌশলের অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নিয়েছে দুদক।

তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সেই অভিযোগ নাকচ করে বলেছেন, দুদকের কাজে সরকারের কোনো ‘হস্তক্ষেপ নেই’।

আরএম/