বিএনপি নেতা হাফিজের জামিন

রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণার অভিযোগে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালত রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় আগামী ধার্যকৃত তারিখ ১১ নভেম্বর পর্যন্ত তাকে জামিনের আদেশ দেন।

এর আগে হাফিজ উদ্দিনকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার এসআই নূরে আলম।

আসামিপক্ষে মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার, মিরাজ হোসেন রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করেন।

শুনানিতে তারা বলেন, একটা মেইল পাঠানো হয়েছে। যে মেইল পাঠিয়েছে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামির কাছ থেকে কোনো কিছু উদ্ধার হয়নি। যে মানুষটি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য কাজ করেছেন, তিনি কীভাবে সরকার, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হুমকি হন। মেইলটি কী বিষয়ে পাঠানো হয়েছে মামলার এজাহারে তা উল্লেখ নেই। শুধু বলা হচ্ছে, মেইল পাঠানো হয়েছে। মেজর হাফিজ সাবেক মন্ত্রী, বহুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আসামির বিরুদ্ধে কিছু না জেনে অভিযোগ আনা হয়েছে। তাকে রিমান্ডে নেয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। তিনি অসুস্থ মানুষ। রিমান্ড বাতিলের প্রার্থনা করছি।

রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান ও হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ রিমান্ড চান।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে জামিনের আদেশ দেন।

সিঙ্গাপুর থেকে শনিবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। সেখান থেকে তাকে আটক করে র‌্যাব-৪।

এর আগে শনিবার এ মামলায় অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মুহাম্মদ ইসহাক মিয়ানের (৬৩) সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। শনিবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে অবসরপ্রাপ্ত ওই সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণার অভিযোগে র‌্যাব-৪ এর এসআই মো. আবু সাঈদ বাদী হয়ে রাজধানীর পল্লবী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, শনিবার (১২ অক্টোবর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে যে, গত ২ মে বেলা ১১টা ৫৭ মিনিটের দিকে কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ইসহাক মিয়ান (৬৩) তার মিরপুর ডিওএইচএসের বাসা থেকে তার ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করে একটি বার্তা পাঠান। ই-মেইলে তিনি ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা, র‌্যাব, পুলিশসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থার ভূমিকা সম্পর্কে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক তথ্য পাঠান। যা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। তার ওই কাজে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে দেশের অভ্যন্তরে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটনানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে। আসামির এমন কার্যকলাপ সামরিক বাহিনীতে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির হীন প্রচেষ্টা। ইসহাক মিয়ান জিজ্ঞাসাবাদে জানান, তার সাথে হাফিজ উদ্দিন এবং ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেনসহ অনেকেই জড়িত।

আজকের বাজার/এমএইচ