বিএসএমএমইউ’র ১৩৮ চিকিৎসকের চাকরি’র রায় ২১ মে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ১১ বছর আগে নিয়োগ পাওয়া ১৩৮ জন চিকিৎসকের চাকরিতে ফেরা নিয়ে রায় হবে আগামী ২১ মে। এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে চিকিৎসকদের করা পৃথক পাঁচটি আপিলের ওপর শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ বুধবার ১৭ মে রায়ের এ দিন নির্ধারণ করেন।

আদালতে ১৩৮ চিকিৎসকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম ও কামরুল হক সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া ও তানিম হোসেইন শাওন। বিএসএমএমইউর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুবে আলম ও তানজিব উল আলম।

২০০৫ সালের ১৮ অক্টোবর চিকিৎসক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ। এর সূত্র ধরে ২০০৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত কয়েক’শ চিকিৎসককে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) বর্তামান সভাপতি অধ্যাপক এম ইকবাল আর্সলান। এই রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অবৈধ ঘোষণা করেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকেরা আপিলের অনুমতি (লিভ টু আপিল) করেন। শুনানির পর আপিল বিভাগে এই আবেদন খারিজ হয়। খারিজের আদেশ পুনর্বিবেচনা চেয়ে ১১০ জন চিকিৎসক আবেদন (রিভিউ) করেন। এই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ রিভিউ গ্রহণ করে আপিল করার অনুমতি দেন।

সেদিন আদালত রিভিউ আবেদনকারীদের চার সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সংক্ষিপ্তসার জমা দিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ সময়ের পরে আরও দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সংক্ষিপ্তসার দিতে বলা হয়। এরপর ১৩৮ জন চিকিৎসক পৃথক পাচটি আপিল করেন, যার ওপর বুধবার ১৭ মে শুনানি শেষ হলো।

চিকিৎসকদের আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন বলেন, ২০১৬ সালের মার্চ থেকে এসব চিকিৎসকেরা বেতন পাচ্ছেন না। একই বছরের এপ্রিল থেকে হাজিরায় সই করতে দেওয়া হচ্ছে না।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/১৭ মে ২০১৭