বিকল্প উৎস থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে : বাণিজ্যমন্ত্রী

বিকল্প উৎস থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন,‘ গত বছর পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল। ওই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার আগে থেকেই আমরা প্রস্তুত ছিলাম। সংকট সৃষ্টি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের সহযোগিতায় পেঁয়াজ আমদানি শু রু করা হয়। তিন দিন আগে দেশে পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে।’

রোববার রাজধানীর পুরানা পল্টনে অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের চাহিদার তুলনায় ৮ থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজের ঘাটতি আছে। প্রতিবছর সেপ্টেম্বরে এই ঘাটতি দেখা দেয়। যার ৯০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে প্রতিবেশী দেশ ভারত। কিন্তু এখন তাদের দেশে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আজ রোববার ভারতের কলকাতার বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি টাকায় প্রতি কেজি ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৭ রুপি অর্থাৎ ৫৫ টাকা। তার মানে আলু পেঁয়াজের দাম আমাদের দেশেও বেড়েছে তাদের দেশেও বেড়েছে।

তিনি বলেন, ভারতের বাজারে পেঁয়াজ ও আলুর সংকট এবং দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। তারা আগে থেকে আমাদের কিছু বললো না, হঠাৎ বন্ধ করে দিয়েছে। গতবারও একই অবস্থা হয়েছিলো।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমরা বলছি আমদানি পেঁয়াজ ৫৬ টাকার নিচে বিক্রি করা যাবে না। এখন আপনাদের অনুসন্ধান করতে হবে, এটা কি আসলেই সঠিক দাম? আপনাদের সেই তথ্যই আগামী দিনের বাজার শিথিলতায় কাজ করবে।

টিপু মুনশি বলেন, তৈরি পোশাক খাতের সঙ্গে আমি জড়িত। এক সময় বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট ছিলাম। এই খাতটি সম্পর্কে আমি জানি। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেয়ায় মহামারির মধ্যেও এই খাতটি এখন ঘুরে দাঁড়িয়ে আগের অবস্থানে চলে এসেছে। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রতিবেদন তৈরিতে দায়িত্বশীলতা বজায় রাখা, বিশেষত বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির চিত্রও সঠিকভাবে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারন সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম, দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ, ইআরএফ সাবেক সভাপতি শামসুল হক জাহিদ,ইআরএফ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড,২০২০ জুরি বোর্ডের সমন্বয়ক সিরাজুল কাদির প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এবছর ৯টি ক্যাটাগরিতে ১৫ জন্ ইআরএফ সদস্য সেরা রিপোর্টার হিসেবে নির্বাচিত হন। অ্যাওয়ার্ড প্রদানে সহায়তা করেছে দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন। বিজয়ীদের ক্রেস্ট, সম্মাননাসহ নগদ ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী সাংবাদিকদের হাতে ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

পুরস্কার বিজয়ীরা হলেন দৈনিক ইত্তেফাকের জামাল উদ্দীন, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের জসিম উদ্দিন হারুন, প্রথম আলোর রাজিব আহমেদ, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর শাহ কাজল ও সানাউল্লাহ সাকিব, শেয়ার বিজ প্রত্রিকার ইসমাইল আলী, যুগান্তরের এস এ এম হামিদ উজ জামান, দ্য বিজনেস স্ট্যার্ন্ডার্ডের জেবুন নেসা আলো, দেশ রুপান্তরের আলতাফ মাসুদ, জিটিভির রাজু আহমেদ, যমুনা টিভির সুশান্ত সিনহা, রিমন রহমান, আলমগীর হোসেন, সময় টিভির এস এম যোবায়ের আলম এবং একাত্তর টিভির কাবেরী মৈত্রেয়।