বিক্ষোভ দমনে পুলিশি নির্যাতনের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ আরো তীব্র হচ্ছে

যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদ ও পুলিশি নির্মমতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুক্রবার আরো তীব্র হয়েছে। সর্বশেষ চলমান বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভে আইন শৃংখলা বাহিনীর নির্যাতনের প্রতিবাদে শুক্রবারের এই বিক্ষোভ ব্যাপকতা লাভ করে। আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের দৃশ্য ক্যামেরায় ধরা পড়ে এবং তা ছড়িয়ে পড়ায় লাকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে নিহত হওয়ার ঘটনায় সপ্তাহজুড়ে বিক্ষোভের পরে তা দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে । ডোনাল্ড ট্রাম্প ফ্লয়েডের হত্যার দিনটি সম্পর্কে “এটি ছিল ফ্লয়েডের জন্য দুর্দান্ত এক দিন” বলে মন্তব্য করায় বিক্ষোভ আরো তীব্র হয়েছে।
নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের মনোনিত প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থী জো বাইডেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যকে “স্পস্টতই ঘৃন্য” বলে উল্লেখ কওে বলেছেন, এতে পরপর ১০ম দিনেও আমেরিকা জুড়ে বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে।
শনিবার ওয়াশিংটনে রাস্তায় হাজার হাজার লোকের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই বিক্ষোভ আরো ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার জর্জ ফ্লয়েডের জন্মস্থান নর্থ ক্যারোলাইনার রেচফোর্ডে স্মরণ অনুষ্ঠান হবে,এর আগে বৃহস্পতিবার
মিনিয়াপোলিসে প্রথম ফ্লয়েডের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শ্বেতাঙ্গ পুলিশ সদস্য হাঁটু দিয়ে জর্জ ফ্লয়েডের ঘাড় নয় মিনিট ধরে চেপে রাখায় শ্বাসরোধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। এর প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমনে পুলিশ কর্মকর্তাদের বলপ্রয়োগের কারণে বিতর্ক ও ক্ষোভ- বিক্ষোভ আরো তীব্র হয়ে উঠছে।
নিউইয়র্কের বাফেলোতে ৭৫ বছরের এক বিক্ষোভকারীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়ার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে, এই বিক্ষোভকারী মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন।
মেয়র ব্যারন ব্রউন টুইটারে বলেছেন, তিনি এবং পুলিশ কমিশনার এই ভিডিও দেখে “গভীরভাবে উদ্বিগ্ন” হয়েছেন।
এরআগে পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, আহত ব্যক্তি অচেতন অবস্থায় রয়েছেন এবং মাথার ক্ষত থেকে ব্যাপক রক্তপাত হয়েছে।
নিউইয়র্কের মেয়র বিল দা ব্লাসিওকে উদ্দেশ্য করে শুক্রবার নিউইয়র্ক টাইমস’র সম্পাদকীয়তে বলা হয়,“আপনার চোখ খুলুন” “পুলিশ নিয়ন্ত্রনের বাইরে।”