বিগ ব্যাশে খেলবেন ডি ভিলিয়ার্স

আসন্ন বিগ ব্যাশ লিগের দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য ব্রিসবেন হিটের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা এবি ডি ভিলিয়ার্স। এই চুক্তির মাধ্যমে ব্রিসবেন বিগ ব্যাশের ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি রেকর্ড গড়েছে। টি-২০ ফর্মেটের আরেক তারকা ব্রেন্ডন ম্যাককালামের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন এবি। চলতি বছর টি২০ লিগ থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ম্যাককালাম।

বছরের শুরুতেই বিবিএল’র একটি ফ্যাঞ্চাইজির সাথে চুক্তির বিষয়ে আগ্রহ দেখানোর পরেও শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে গিয়েছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। এ সম্পর্কে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই অধিনায়ক বলেছেন, ‘অবসরের পর একজন খেলোয়াড় এমন কিছু সময়ের মধ্যে দিয়ে জীবন অতিবাহিত করে যখন সে খেলার জন্য মুখিয়ে থাকে। কিন্তু ঐ সময়টা তাকে পরিবারের সাথে ঘরের মধ্যেই কাটাতে হয়। যে কারণে পুরো বিষয়টির সাথে ভারসাম্য রক্ষা করাটা কঠিন হয়ে পড়ে। এই মুহূর্তে কোথায় আমি খেলবো সেই সিদ্ধান্ত নিতে আমার কিছুটা সময় লেগেছে। শরীরও সবসময়ই অনুমতি দেয়না। বড়দিন ও নতুন বছরের সময়টাতে আমি ঘরেই থাকতে চেয়েছি। কিন্তু আমি ব্রিসবেনকে এ ব্যপারে নেতিবাচক কিছু বলিনি বা সেখানে না যাবার ইচ্ছাও পোষন করিনি। বর্তমানে এটি বিশ্বের অন্যতম সেরা একটি টি-২০ টুর্নামেন্ট। সবসময়ই আমি খেলাগুলো দেখার চেষ্টা করেছি। অন্যান্য খেলোয়াড়দের কাছ থেকে আমি ইতিবাচক সাড়াই পেয়েছি। এখানকার ক্রিকেটের মান অনেক উঁচু এবং অনেক সমর্থক খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়।’

বিগ ব্যাশ লিগের দ্বিতীয় মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ব্রিসবেন হিটে শেষ পর্যন্ত খেলার সুযোগ পাওয়ায় নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছেন ডি ভিলিয়ার্স। অন্যান্য ক্লাবগুলোও তার প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছিল। তবে ব্রিসবেন থেকেই সবসময়ই সাড়া পেয়েছেন বলে ডি ভিলিয়ার্স স্বীকার করেছেন। বিশেষ করে যে ধরনের ক্রিকেট তিনি পছন্দ করেন সেটাই ব্রিসবেন খেলে থাকে বলে আগ্রহটা এখানেই বেশী ছিল। গাব্বার প্রতিও বিশেষ একটি আকর্ষণ ছিল।

হিটের প্রধান কোচ ড্যারেন লেহম্যানের আগ্রহেই মূলত ডি ভিলিয়ার্স শেষ পর্যন্ত চুক্তি সম্পন্ন করতে পেরেছেন বলে স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে ই-মেইলে ড্যারেনের সাথে তার যোগাযোগ হতো। এবি বলেন, ‘ড্যারেনের খেলার ভক্ত আমি সবসময়ই ছিলাম। অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের খেলার সময় আমি তার সবকিছুই অনুসরণ করতাম।’

সারা বিশ্বে প্রায় ১৫০টি টি-২০ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে গাব্বায় যাচ্ছেন ডি ভিলিয়ার্স। টি-২০ ক্যারিয়ারে তাকে অন্যতম সফল ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিভিন্ন লিগে তিনি চারটি টি-২০ সেঞ্চুরিও করেছেন। এর মধ্যে তিনটিই এসেছে ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগে। এ বছর আইপিএল’এ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে ১৩ ম্যাচে ৪৪.২০ গড় ও ১৫৪ স্ট্রাইক রেটে ৪৪২ রান করেছেন।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান