বিডিআর হত্যা: ২৯ হাজার পৃষ্ঠার রায় নিয়ে বিপাকে দুপক্ষ

পিলখানায় বিডিআর হত্যা মামলার ২৯ হাজার পৃষ্ঠার রায় নিয়ে বিপাকে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ। আসামিপক্ষ বলছে, আপিল করতে গেলে প্রত্যেক আসামির খরচ হবে অন্তত ১০ লাখ টাকা করে। বিষয়টি স্বীকার করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেলও। বলছেন, অচলবস্থা নিরসনে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ দরকার। এদিকে, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলাও চলছে ধীর গতিতে।

২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯। পিলখানায় হঠাৎই গোলাগুলি। এরপর অজানা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। কী হচ্ছে ভেতরে জানা যায়নি দুদিনেও। তবে শেষ পর্যন্ত থামে ভেতরের নৃশংসতা। যার বলি হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন।

পিলখানার বিডিআর হত্যা মামলায়, ১৩৯ জন আসামির মৃত্যুদণ্ড, ১৮৫ জনের যাবজ্জীবনসহ ৫৫২ জনকে সাজা দিয়ে ২৯ হাজার ৫৯ পৃষ্ঠার রায় দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বিশ্বের ইতিহাসে এত পৃষ্ঠার রায় এটিই প্রথম।

এ রায় নিয়ে এখন বিপাকে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ। আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলছেন, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে প্রত্যেক আসামিকে গুনতে হবে প্রায় ২২ লাখ টাকা। যা আসামিদের পক্ষে অসম্ভব।

বিষয়টি স্বীকার করেছেন খোদ অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলছেন, অচলাবস্থা নিরসনে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চাইবেন তিনি।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, এদের পক্ষে এই অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হবে কি না তা চিন্তার বিষয়। এটা সমাধানে প্রধান বিচারপতির সাথে কথা বলব।

হত্যা মামলার যখন এ অবস্থা তখন বিস্ফোরক আইনের অপর মামলা চলছে কচ্ছপ গতিতে। ১১ বছরে সাক্ষী হয়েছে মাত্র ১৪৫ জন।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, সমস্ত সাক্ষী না দেখে কাউকে শাস্তি দেয়া যাবে না। কাজেই বলা যাবে না এখানে গাফিলতি হচ্ছে। এদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলছেন, রাষ্ট্রপক্ষ অত্যন্ত ধীরগতিতে এই মামলার কার্যক্রম চালাচ্ছেন, আমরা জানি না কী কারণে। আগের মামলাটি যে দ্রুত গতিতে তারা পরিচালনা করেছিলেন এখন তাদের মধ্যে সেই আগ্রহ দেখা যায় না।

তবে কবে নাগাদ এ মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয় সেদিকে নজর থাকবে সবার।

আজকের বাজার/এমএইচ