বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ৫বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে চীন

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ঐতিহাসিক বাংলাদেশ সফরে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি খাতে চীনের সঙ্গে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি সই হয়েছে। এসব চুক্তির আওতায় দুইটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ৭৬৫ কিলোমিটার ডাবল সার্কিট লাইন, ভূগর্ভের সাব-স্টেশন, সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং টার্মিনাল নির্মাণসহ আরো বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।

প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে দেশের জ্বালানি খাত এবং বিদ্যুতের উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার অনেক খানি উন্নয়ন ঘটবে।

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত শুক্রবার পটুয়াখালীর পায়রাতে এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক দুইটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কাজ এরই মধ্যে অনেক খানি এগিয়ে গেছে।
বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এটি নির্মাণ করছে। কেন্দ্রটি নির্মাণে চীনের এক্সিম ব্যাংক ১ দশমিক ৯৮৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত চুক্তি হয়ে গেছে। এখানে চীনের সহযোগিতায় আরো ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের আরো ১টি কেন্দ্র নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে অন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে এস আলম গ্রুপ চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে। এর ঋণ সহায়তাও চীন থেকেই পাওয়া যাবে। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এটি নির্মাণ করা হবে। এস এস পাওয়ার লিমিটেড ১ ও ২ নামে দুই কোম্পানি বাঁশখালীতে ৬১২ মেগাওয়াটের দুইটি ইউনিট স্থাপন করবে। ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের এ প্রকল্পটির ৭৫ শতাংশ ঋণ সংস্থান হবে চীন থেকে।

এ ছাড়াও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) জ্বালানি তেল পরিবহনে বহুল প্রত্যাশিত সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং টার্মিনাল নির্মাণ করছে। এ বিষয়ে চীনা প্রেসিডেন্টের সফরে প্রাথমিক একটি চুক্তি সই হয়েছে। সরকারের ক্রয় কমিটির অনুমোদন পেলেই চূড়ান্ত চুক্তি হবে। চীনের এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নে ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে টার্মিনালটি নির্মাণ করা হবে। টার্মিনালটি নির্মাণ করা হলে গভীর সমুদ্র থেকে বিপিসির ডিপোতে তেল আনা হবে পাইপ লাইনে। এতে বিপিসির জ্বালানি পরিবহন খরচ অনেকাংশে কমে আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা বলে আসছেন।