বিনামূল্যে বই পেয়ে প্রাণচাঞ্চল্যে ভরে উঠেছে কুমিল্লার মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো

জেলার প্রতিটি স্কুলে এবার জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে পুরোদমে ক্লাস শুরু হয়েছে। বছরের শুরুতেই প্রাণচাঞ্চলে ভরে উঠেছে জেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাগুলো। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সরকারীভাবে বিনামূল্যে বই হাতে পাওয়ায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই সরগরম হয়ে উঠেছে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। জেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, ইংরেজী বছরের প্রথম দিনে কুমিল্লা জেলার ১৭টি উপজেলার প্রায় ৩৭ লাখ শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দেয়া হয়েছে।

বই হাতে পেয়ে বছরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাগুলো পুরোদমে ক্লাস শুরু হয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। আজ সোমবার জেলার চান্দিনা উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা কাদুটি উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল ৯টায় গিয়ে দেখা যায়, প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে ৯০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক জানান, জানুয়ারির ১ তারিখে বিনামূল্যে ছাত্রছাত্রীরা বই হাতে পেয়ে আনন্দিত উল্লাসিত তারা। তাই জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই পুরোদমে ক্লাস শুরু হয়েছে। এ জন্য তিনি বর্তমান সরকারের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

নতুন বই পেয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বেশ খুশী। নতুন বই হাতে পাওয়ায় আনন্দে উদ্বেলিত তারা। মাধাইয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী আমেনা আক্তার তিন্নি জানায়, নতুন বছরের প্রথম কর্মদিবসেই বই পেয়ে তারা পরদিন থেকেই ক্লাসে আসতে পেরেছে এবং ক্লাসও হচ্ছে যথারীতি। জেলার দাউদকান্দির ইলিয়টগঞ্জ রাবি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহীদুল্লাহ জানান, ইতিপপূর্বে নতুন বই বাজারে আসতে আসতে ফেব্রæয়ারি মাস পর্যন্ত গড়িয়েছে।

এরপরও লাইব্রেরীগুলোতে বই স্বল্পতার কারণে সব শিক্ষার্থী সময়মতো বই পেতনা। কিন্তু এবার সরকারীভাবে জানুয়ারির ১ তারিখেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই সরবরাহ করায় সময়মতো ক্লাস শুরু করতে পেরেছে তারা। চান্দিনা এক ছাত্রের অভিভাবক আকমল হোসেন জানান, সরকারের এ পদক্ষেপের কারণে শিক্ষা ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়ে গেছে দেশ। বিনামুল্যে বই দিয়ে সরকারের এ যুগান্তকারী পদক্ষেপের জন্য তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান