বিবেকের কাছে কখনো পরাজিত হবে না: রাষ্ট্রপতি

তােমরা আজ দেশের উচ্চতর মানবসম্পদ। দেশের ভবিষ্যত উন্নয়ন ও অগ্রগতি নির্ভর করছে তােমাদের উপর। তােমাদের তারুণ্য, জ্ঞান, মেধা ও প্রজ্ঞা হবে দেশের উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে একজন গ্র্যাজুয়েট হিসেবে সবসময় সত্য ও ন্যায়কে সমুন্নত রাখবে। নৈতিকতা ও দৃঢ়তা দিয়ে দুর্নীতি ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে। রাষ্ট্রের বিবেকবান নাগরিক হিসেবে তােমাদের কাছে জাতির প্রত্যাশা, তােমরা কখনাে অর্জিত ডিগ্রির মর্যাদা, ব্যক্তিগত সম্মানবােধ আর নৈতিকতাকে ভুলুষ্ঠিত করবে না। বিবেকের কাছে কখনাে পরাজিত হবে না।

এছাড়া তিনি আরো বলেন, একসময় কুমিল্লা পড়ালেখায় পুরো দেশে এক নম্বর ছিলো। এখন অবাধে মাদক সেবন চলে। মাদক প্রবেশের যত রাস্তা আসে তার মধ্যে কুমিল্লা অন্যতম।’ আমি কুমিল্লার সবাইকে বলতে চাই ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রসমাজের বড় অবদান ছিলো। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এখন নতুন করে আবার সংগ্রাম করতে হবে। আর এ সংগ্রাম হবে মাদকের বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন মাদকের নাম উল্লেখ করে ছাত্রসমাজকে এসব রুখতে বলেন। ছাত্রসমাজ যেনও মাদকে পা না বাড়ায় তার জন্য কাজ করতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুয়েটদের তিনি আহ্বান জানান।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ।

এরপর ১ম সমাবর্তনে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরসহ ২৮৮৮ জন শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করেন তিনি। এছাড়া শিক্ষায় অসমান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ১৪ জন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

পদক প্রদানের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী, সমাবর্তন বক্তা মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বিশেষ অতিথি মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বক্তব্য রাখেন।

সমাবর্তন উপলক্ষে শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় অনুষ্ঠানস্থলে আসতে থাকেন। সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া কালো গাউন আর সমাবর্তন ক্যাপ পরে এসেছেন। জীবনের স্মরণীয় মুহূর্তকে ফ্রেমবন্দি করছেন তারা।

মীর শাহাদাত, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়