বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত ১ কোটি ১৪ লাখের বেশি মানুষ

জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ১৪ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ জন।

প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৭৮১ জন। এছাড়া কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬১ লাখেরও বেশি মানুষ।

জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। সোমবার পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৬ লাখের বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন ৬৪ হাজার ৮৬৭ জন।

সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬ লাখ ৮০ হাজার ২৮৩ জনে।

এ তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটিতে রবিবার এক দিনে সর্বোচ্চ ২৪ হাজার ৯১২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৬ লাখ ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১৯ হাজার ২৬৮ জন।

করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ২৮ লাখ ৮০ হাজার ১৩০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৯৪৭ জনের।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

বাংলাদেশ পরিস্থিতি:

এক দিনে আরও ৫৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া আরও ২৭৩৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা জানান, ৬৮টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৯৬৪টি। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১৩ হাজার ৯৮৮টি। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৬২টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭৩৮ জনসহ দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৬২ হাজার ৪১৭ জন। নতুন করে আরও ৫৫ জনের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৫২ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯.৫৭ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯. ২০ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.২৬ শতাংশ।

নতুন করে মারা যাওয়া ৫৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৭ এবং নারী ১৮ জন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৪১ জন এবং বাড়িতে ১৪ জন। ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন সর্বোচ্চ ১৯ জন।

ঢাকা বিভাগে মোট ১০০৭ জন, চট্টগ্রামে ৬৩৪, রাজশাহী বিভাগে ১০২, খুলনায় ৮৮, বরিশাল বিভাগে ৭২, সিলেট বিভাগে ৮৬, রংপুরে ৬১ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৯ জন মারা গেছেন।

এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৯০৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ৬২৫ জন। সুস্থতার হার ৪৪.৭২ শতাংশ।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।