বিশ্বে সাইক্লিস্টদের করোনারোধে আগামী জীবনযাত্রা কেমন হওয়া উচিত?

করোনা যুদ্ধে আমাদের হেরে গেলে চলবে না এর বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে লড়াই করতে হবে। নিরাপদ স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহনে আমাদের চলতে হবে, দেশের সরকার যতই আমাদের সুস্বাস্থ্য মেনে চলার উপদেশ মূলক নীতি প্রদর্শন করছেন, সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের যথাযথভাবে এটি পালন করা প্রয়োজন এবং কিছু সচেতন মানুষের জন্য করোনা প্রতিরোধ করা হুমকির সম্মুখীন হতে হয় আমাদের । তথ্যপ্রযুক্তির যুগে স্বল্পশিক্ষিত মানুষগুলো উচ্চ শিক্ষিত মানুষের মত তথ্যের সংগ্রহ মাধ্যমে সচেতন হচ্ছে।কিছু উচ্চ শিক্ষিত মানুষ গুলো কেও দেখি অবগত হয়েও তারা
সচেতনমূলক ও অচেতন ভাবে চলছেন। সচেতন ভাবে চলা এবং না চলা এটি হলো একজন নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কেবল নিজে সচেতন হয়ে চললেই হবে না আমার চারপাশের সবাইকে আমারা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব বোধ নিয়ে
সচেতন করতে হবে। তবেই আমি একজন নিজেকে সচেতন বলে দাবি করতে পারি।
আজ বা কাল সারা বিশ্বের মতো আমাদের দেশেও লকডাউন উঠে যাচ্ছে আস্তে ধীরে ধীরে আমাদের আগামী জীবনযাত্রা কেমন হবে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার আমাদের শেষ নেই।
১৭ মে থেকে সীমিত আকারে দেশে গণপরিবহন চালু হচ্ছে। তবে ঈদের সময় চারদিন সম্পূর্ণভাবে তা বন্ধ থাকবে। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন এসব কথা জানিয়েছেন। তবে বাস, ট্রেন, নৌ কর্তৃপক্ষ এখনো এ বিষয়ে জানে না।প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন বলেছেন, জীবিকার তাগিদে একটু একটু করে সবই চালু করতে হবে। তবে তা স্বাস্থ্যবিধি মেনে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন কিভাবে চলবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৪০ সিটের গাড়ি ২০ সিট পরিপূর্ণ হবে। অর্থাৎ এক আসন ফাঁকা রেখে মানুষকে বসাতে হবে। গাড়িতে উঠার আগে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে দিতে হবে। জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে।
আমরা এই নিয়মে যদি মেনে চলি তাহলে আমাদের জন্য ভাল আর আমরা যদি এটি না মানে তাহলে আমাদের জন্য তো খারাপই হবে সকল দেশ ও জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক বয়ে আনবে।এতদিন আমরা যেভাবে চলেছি সেভাবে কোনক্রমে আমাদের চলাচল করা যাবেনা আমাদের জীবনযাত্রা পরিবর্তন আনতে একে অপরের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। নিজেকে নিরাপদ রাখতে গণপরিবহন পরিবর্তে আমরা বাই সাইকেল ব্যবহার করতে পারি। যতটা সম্ভব
গণপরিবহন এড়িয়ে চলা যায়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমাদের গণপরিবহন চলাচল করা জরুরি।নয়তো আমাদের বিপদ আমরাই ডেকে নিয়ে আসব। যারা সাইকেল ব্যবহার করবেন তারা যদি মনে করে নিজেকে একেবারে নিরাপদ তাহলে ভুল করবেন তাদেরকে যা করতে হবে সাইকেল চালানোর পূর্বে করোনা স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে আপনি যখনই সাইকেলে উঠবেন তখনই আপনাকে বাইসাইকেল ধরার আগে পরে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে দিতে হবে। জীবাণুনাশক স্প্রে পুরো সাইকেলে ছিটিয়ে।
নিজের নিরাপত্তার জন্য আপনা কে আরেকটু ভাবতে হবে যেটি হল আপনাকে যা যা করতে হবে। হান্ডেট পার্সেন্ট 100% এয়ারপোর্ট ওয়াটারপ্রুফ পি পি ই,বারবার ধুয়ে ইউজ করা যাবে এমনটি, সাথে সেফটি চশমা, মাক্স ও একজোড়া হ্যান্ড প্লাভস পড়ে আপনাকে হেলমেট অবশ্যই যখন পড়তেই হবে তার আগে আপনি সাওয়ার ক্যাপ পরতে ভুল করবেন না।সাইকেল চালানো শেষে
খেলা করা যাবে না আমরা যদি অবহেলা করি তাহলে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আক্রমণ করতে পারে তাই নিজ দায়িত্বে আপনাকে সাবান দিয়ে ধুয়ে অথবা রোদে শুকাতে হবে।
বিশ্ব থেকে যতদিন কারোনা মুক্ত না হচ্ছে, ততোদিন আমাদের অপেক্ষা করতে হবে ঝাকে ঝাকে দলবদ্ধভাবে সাইকেল চালাবো না আমাদের একে একে চলতে হবে।
আমাদের সকলের দায়িত্ব হবে যতটা সম্ভব একজন-আরেকজনের দূরত্ব মেনে চলার
সুবিধার্থে জনসম্মুখ এড়িয়ে চলাচল করতে করতে হবে তবে আমরা সাইক্লিং জীবনযাত্রায় করোনারোধ করতে সম্ভব।

আমিনুল ইসলাম টুববুস, সভাপতি,
বাংলাদেশ সাইকেল লেন বাস্তবায়ন পরিষদ