বিয়ের আগে বর-কনের রক্ত ও চাকরির আগে ডোপ টেস্ট কেন নয়: হাইকোর্ট

ছবি : ইন্টারনেট

বিয়ের আগে বর ও কনের রক্তে থ্যালাসেমিয়া ও মাদকের অস্তিত্ব আছে কি না তা পরীক্ষা করে মেডিকেল সার্টিফিকেট দাখিল কেন বাধ্যতামূলক করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে সকল চাকরিতে যোগদানের পূর্বে ডোপ টেস্টও বাধ্যতামূলক করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ৫ জুলাই বিয়ের আগে বর ও কনের রক্তে থ্যালাসেমিয়া ও মাদকের অস্তিত্ব আছে কি না তা পরীক্ষা করে মেডিকেল সার্টিফিকেট দাখিল বাধ্যতামূলক চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা শাহিন আরা লাইলী বাদী হয়ে এই রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

রিট আবেদনে বলা হয়, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে একই রোগে আক্রান্ত কোনো রোগীর বিয়ে হলে অনাগত সন্তান বিকালঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন।

এছাড়া দেশে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ মাদকাশক্ত উল্লেখ করে রিটে বলা হয়, এর মধ্যে শতকরা ৬৫ ভাগ তরুণ। বিভিন্ন পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ মাদকাশক্তি।

বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের সালিশি পরিষদের তথ্যের বরাত দিয়ে বলা হয়, নারীদের অভিযোগের কারণ হচ্ছে স্বামীর শারীরিক অসক্ষমতা। আর মাদক যেমন ইয়াবা, হিরোইন, অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন মাদক সেবনে পুরুষত্বহীন হয়ে যাচ্ছে।

বিদ্যমান নিকাহ নামার ৩ ও ৪ নম্বর দফায় বর-কনের জন্ম সনদের পাশাপাশি ১৭ নম্বর দফায় ডাক্তারি সার্টিফিকেট (ডোপ টেস্ট সার্টিফিকেট) বাধ্যতামূলক হলে বর-কনের ভবিষ্যত সংসার ও অনাগত সন্তানের জীবন রক্ষা পাবে বলে রিটে উল্লেখ করা হয়।

নিজ নিজ এলাকার নিকাহ রেজিস্ট্রি অফিসে সার্টিফিকেট দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয় ওই রিটে।

আজকের বাজার/এমএইচ