বৈধ আমদানীর সুযোগ হলে গরুর মাংস হবে ২৫০ টাকা

বিদেশ থেকে গবাদি পশুর মাংস আমদানি করা হলে তা দেশের চামড়া শিল্প, খামারি এবং মাংস ব্যবসায়ীদের ধ্বংস করে ফেলবে বলে মনে করে ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতি। তবে গরুর হাটের চাঁদাবাজি বন্ধ হলে এবং মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা থেকে বৈধ পথে গরু আমদানির সুযোগ দিলে মাংসের দাম ২৫০ টাকার বেশি হবে না বলেও দাবি করেন তারা।

রোববার ২১ জানুয়ারি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতসহ কয়েকটি দেশ থেকে হিমায়িত মাংস আমদানি করা হয়েছে। ভারতে যে মাংস ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে সেটাও এখানে এনে আমাদের মতো একই দামেই বিক্রি হচ্ছে।

তিনি বলেন, এতে আমাদের দেশের খুব লাভ হচ্ছে না। বরং মাংস আমদানি করা হলে দেশের চামড়া শিল্প, খামারি এবং মাংস ব্যবসায়ীরা ধ্বংস হয়ে যাবে।

তিনি তাদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনায় বসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সরকার আমাদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনায় বসুক। গরুর হাটের চাঁদাবাজি বন্ধ করতে উদ্যোগ নেওয়া হোক।

তার দাবি, চাঁদাবাজি বন্ধ হলে সারা দেশে ৪৫০ টাকার মধ্যে মাংস বিক্রি করা সম্ভব হবে। আর এরপাশাপাশি মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা থেকে বৈধ পথে গরু আমদানির সুযোগ দিলে মাংসের দাম ২৫০ টাকার বেশি হবে না বলেও দাবি করেন রবিউল আলম।

তিনি বলেন, এটা স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে আমরা অবৈধভাবেই গরু আমদানি করছি। কিন্তু সেটা একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসে নিলাম হচ্ছে। যেখানে সরকার প্রতি গরুতে ৫২০ টাকা করে পাচ্ছে। কিন্তু সীমান্তে প্রতিটি গরুর জন্য ৩০-৩৫ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। সুতরাং বৈধ পথে গরু আমদানি হোক এটা আমরা চাই।

বাংলাদেশের কিছু ব্যবসায়ী ভারত থেকে হিমায়িত গরুর মাংস আমদানির জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

মাংস ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার দেশে গবাদি পশু পালনে ২০০ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা দিয়েছে। ফলে খামারিরা উৎসাহিত হচ্ছে। এ সময়ে দেশে পশুর মাংস আমদানি করা হলে, এসব খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এমনকি চামড়া, হাড়, শিং সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং এক পর্যায় বন্ধ হয়ে যাবে।

আজকের বাজার:এলকে/ ২১ জানুয়ারি ২০১৮