ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত সীমা ৩ লাখ করার প্রস্তাব

আগামী বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। এছাড়া সব ক্ষেত্রে কর্পোরেট কর ৫ শতাংশ কমানোসহ ২০টি সুপারিশ করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় এনবিআর সভাকক্ষে জাতীয় বাজেট ২০১৮-২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় এসব সুপারিশ তুলে ধরেন ডিসিসিআইয়ের সভাপতি আবুল কাশেম খান।

সংগঠনটির দাবি, ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সর্বোচ্চ সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করতে হবে। ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর ১৫ শতাংশ, ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর ২০ শতাংশ, ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর ২৫ শতাংশ এবং এর উপরে আয়ের উপর ৩০ শতাংশের সুপারিশ করে সংগঠনটি।

এছাড়া আগামী ৩ বছরের জন্য সারচার্জ শূন্যে নামিয়ে আনারও জোর দাবি জানায় ডিসিসিআই সভাপতি।

সংগঠনটির প্রস্তাবে আরো বলা হয়েছে, গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমে বিনিয়োগ করলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের করযোগ্য আয়ের ২ শতাংশ কর অব্যাহতি, বাৎসরিক শিক্ষা খরচে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা কর অব্যাহতি এবং স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবসহ সকল মোবাইল ফোন কেনার ক্ষেত্রে সর্বাধিক ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্তির প্রস্তাব।

আবুল কাশেম খান বলেন, ট্যাক্স কমিয়ে দিলে সেই টাকা দিয়ে আমরা বাড়ি গাড়ি করবো না। আপনারা যদি ট্যাক্স কমিয়ে দেন, ভবিষ্যতে সেই টাকা বিনিয়োগ করতে চাই। অনেক ক্ষেত্রে দেশের টাকা বাইরে চলে যাচ্ছে। বিনিয়োগের সুযোগ করে দিলে সেই টাকা হয়ত দেশেই থেকে যেত।

এসব প্রস্তাবের আলোকে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিবছরই বাজেটের আকার বাড়ে। এবারও বাড়বে। বর্তমানে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ আছে, এটাকে আরো বাড়ানোর চেষ্টা করবো। যদিও এবছরই প্রবৃদ্ধির হার ৮ এ যেতে পারবো না। তবু টার্গেট আছে।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন বিবেচনা করে আমাদের যে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা সেটা খুব কমিয়ে আনা যাবে না। বরং রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ বাড়বে। ট্যাক্স কমিয়ে কীভাবে রাজস্ব বাড়ানো যায়, এই দিকটায় আমরা যেতে চাই। কারণ কোনো কোনো ক্ষেত্রে ট্যাক্স কমানোর ফলে রাজস্ব বেড়েছে। অর্থনৈতিক কার্যক্রম বাড়লে রাজস্ব বাড়বে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।