ব্যবসায়ীদের প্রতি খাদ্যমন্ত্রীর আহ্বান নীতি-নৈতিকতার সাথে ব্যবসা করতে

নীতি-নৈতিকতার সাথে পরিমিত লাভের কথা ভেবে ব্যবসা করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। সহনশীল ও গ্রহণযোগ্য বাজার দর বজায় রেখে পণ্য বিক্রি করাতেও ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান।

আজ রবিবার এফবিসিসিআই আয়োজিত রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ‘নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর বছরব্যাপী চাহিদা, উৎপাদন, আমদানি, মজুদ ব্যবস্থা, সরবরাহ ব্যবস্থাপনা ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে মন্ত্রী এ আহবান জানান।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যেসব ব্যবসায়ী ভেজাল দিয়ে ও কারসাজি করে লাভবান হন; তিনিও অন্য পণ্যের একজন ভোক্তা। তখন ভোক্তা হিসেবে তিনিও ভেজাল এবং কারসাজির মাধ্যমে প্রতারিত হন। দেশে চালের যথেষ্ট মজুদ আছে। চালের মূল্য বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, ‘কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। কিন্তু কৃষকের কথা কেউ চিন্তা করে না। এতো কষ্ট করে কৃষক ফসল ফলায়; কিন্তু সে তার ন্যায্য মূল্য পায় না।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন হয়েছে, এখন সবাই সরু চাল খেতে পছন্দ করে। এ কারণে সরু চালের উপর একটু চাপ বেড়েছে। তাই চালের দাম মাঝে দু-এক টাকা বাড়লেও চাল মিল মালিক এবং ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করা হয়েছে। এখন চালের দাম আবার একই রকম আছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘যেদিন ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার ঘোষণা দেয়; তার পরদিনই পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। কিন্তু যে পরিমাণ পেঁয়াজ দেশে ছিল; তা দিয়ে ব্যবসায়ীরা আগের দামেই আরো কয়েকদিন বিক্রি করতে পারতেন। যদি তা করতেন, তাহলে বুঝতাম তারা নীতি-নৈতিকতা সাথে ব্যবসা করছেন।’

তিনি জানান, মিসর ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আনা হচ্ছে বিমানে করে। পাশের দেশ মিয়ানমার থেকেও পেঁয়াজ আনা হচ্ছে। জাহাজে করে আনা পেঁয়াজও অতি শিগগিরই চলে আসবে। পাশাপাশি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করবে। পেঁয়াজের দাম ইতোমধ্যে কমে গেছে এবং খুব তাড়াতাড়ি পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে।

এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, সরকারি-বেসরকারি যৌথভাবে বাংলাদেশের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা এবং উৎপাদন কতো তার সঠিক পরিসংখ্যান বের করে বিদ্যমান সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করে তার সঠিক সমাধান বের করতে হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ভবিষ্যতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন সয়াবিন তেল ও লবণ নিয়ে কোন কারসাজি করলে তাকে ধরা যাবে। সব ধরনের তথ্য-উপাত্ত আমাদের কাছে রয়েছে। খাদ্য সচিব, বাণিজ্য সচিব, শিল্প সচিব, প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান, এফবিসিসিআইয়ের বিভিন্ন শ্রেণীর নেতৃবৃন্দ এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান