ব্যবসায়ী নয়, ব্যবসাবান্ধব বাজেট চায় সিপিডি

ব্যবসায়ী নয়, ব্যবসাবান্ধব বাজেট প্রণয়নের প্রস্তাব দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্ট্রাল ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

৯ এপ্রিল, মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে এ প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় বোর্ডের একাধিক সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পাশাপাশি অর্থনীতিবিদ ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো বলেন, ‘এনবিআর বলছে, এবারের বাজেট ব্যবসাবান্ধব হবে। সেই লক্ষ্যে এনবিআর কাজ করছে। সিপিডিও মনে করে, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাজেট টা যাতে ব্যবসায়ী বান্ধব না হয়। কারণ ব্যবসা ও ব্যবসায়ীবান্ধব এক কথা নয়, পার্থক্য আছে। ব্যবসাবান্ধব বাজেট ও আইন হলে শুধু ব্যবসায়ী নয়, চাকরিজীবি এবং সাধারণ মানুষ এটার ফল ভোগ করেন। কিন্তু ব্যবসায়ীবান্ধব হয়, তবে কিছু সংখ্যক পুঁজি নিয়ন্ত্রণকারীর পকেট ভারী হবে। তারাই সুবিধা পাবেন। ফলে ধীরে ধীরে বৈষম্য আরও বাড়বে। তাই প্রকৃত পক্ষে ব্যবসা বান্ধব বাজেট প্রণয়নের প্রস্তাব করছি।’

তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘নতুন সরকারে প্রথম বাজেট এটি। এই বাজেট সবচেয়ে গুরুত্ব হলো ভ্যাট আইন। অন্যান্য বছর রাজনৈতিক চাপ থাকে। কিন্তু এ বছর তা থাকবে না। ফলে এখনি সুযোগ নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করা। আগামী ২-৩ বছরের ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করতে না পারলে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে আপনাদের।’

তিনি বলেন, ‘ভ্যাট আইন মূলত প্রণয়ন করা হয়েছিল অটোমেশনের ওপর ভর করে। তাই অটোমেশনে দীর্ঘ মেয়াদি ছাড় দিলে ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে জটিলতা তৈরি হবে।’
সিপিডির এই গবেষক বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির আকার বাড়ছে। তাই ট্যাক্স জিডিপি ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। যাদের টিআইন আছে তারা ঠিকমত রিটার্ন দিচ্ছেন কিনা তা এনবিআর খতিয়ে দেখতে পারে। তাদের চিহ্নিত করে সামাজিক চাপ তৈরি করতে পারে। তবে জোর করে নয়। করের আওতা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে প্রপার্টি ট্যাক্সের বিষয়টি এনবিআর বিবেচনা করতে পারে।’

সেই সঙ্গে রফতানির ক্ষেত্রে যাদের সরকার ইনসেন্টিভ সেটা জন সম্মুখে প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছে এই গবেষণা সংস্থা।