ব্যাংক খাতে বেড়েছে খেলাপি ঋণ

অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে বিতরণ করা ঋণ আর আদায় হচ্ছে না। ফলে বেড়েই চলছে খেলাপি ঋণ। চলতি বছরের মার্চ মাস শেষে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১০ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

খেলাপি ঋণের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের তৈরি করা মার্চ’১৯ প্রান্তিকের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের মার্চ শেষে ব্যাংক খাতে ঋণ বিতরণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ ১০ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা, যা ডিসেম্বর’১৮ শেষে ছিল ৯৩ হাজার ৯৯১ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৬ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, মোট খেলাপি ঋণের অর্ধেকই রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক ও বিডিবিএলে। মার্চ শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত এই ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা। এসময় রাষ্ট্রীয় মালিকানার ব্যাংকগুলোর মোট বিতরণ করেছে এক লাখ ৬৭ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমান দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ১৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এই সময় তাদের মোট ঋণ দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৬০২ কোটি টাকা।

খেলাপি ঋণ বেড়েছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেও। মার্চ শেষে ৪০টি বেসরকারি ব্যাংকের মোট ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। এরমধ্যে খেলাপি ঋণ ৪৯ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। আর দেশে পরিচালিত ৯টি বিদেশি মালিকানার ব্যাংকে চলতি বছরের মার্চ শেষে মোট ৩৬ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা বিতরণ করে। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। যা বিতরণ হওয়া ঋণের ৬ দশমিক ২০ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ শেষে সব ব্যাংকের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা।

সম্প্রতি ঋণ খেলাপি নীতিমালা পরিবর্তন হয়েছে। এরপরও ব্যাপক হারে বেড়েছে খেলাপি ঋণ।

আজকের বাজার/এমএইচ