‘ব্লু ইকোনমি’র ক্ষেত্রে শিগগিরই বিরাট সাফল্য : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী আজ বলেছেন, বেসরকারি খাতের সহযোগিতায় গবেষণা বৃদ্ধির মাধ্যমে ‘ব্লু ইকোনমি’র ক্ষেত্রে শিগগিরই বাংলাদেশ বিরাট সাফল্য অর্জন করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এই খাতে শিগগিরই একটি বিরাট সাফল্য অর্জিত হবে বলে আমরা আশাবাদী।’
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের ডেলিগেশন আয়োজিত ‘ব্লু ইকোনমি এ্যান্ড ইইউ হরাইজন ২০২০’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ব্লু ইকোনমি একটি নতুন ক্ষেত্র এবং কোন একটি নতুন খাত থেকে সুফল পেতে সময় প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে একটি মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেরিন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছেন- একথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এখন সেখানে আমাদের ভালো শিক্ষক প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, সমুদ্রে প্রচুর সম্পদ থাকলেও সক্ষমতার সীমাবদ্ধতার কারনে সেগুলোর খুব কমই আহরন করা যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। বেসরকারি খাত এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসা উচিত।’
আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ব্লু ইকোনমি থেকে প্রাপ্য সুবিধাগুলো কাজে লাগাতে সরকারসহ বিজ্ঞানীদের এগিয়ে আসা উচিত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন রাষ্ট্রদূত রেনজসে টেরিংক।
এ সময় ‘পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টশন’ করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম এ্যাফেয়ার্স) রিয়ার এডমিরাল মো. খুরশেদ আলম।
রাষ্ট্রদূত রেনজসে টেরিংক ‘ব্লু ইকোনমি’র ক্ষেত্রে গবেষনা পরিচালনার উদ্যোগ নেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহবান জানান।
‘হরাইজন ২০২০’-এর আওতায় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউরোপিয় ইউনিয়ন এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।’
ইউরোপিয় ইউনিয়নের এযাবতকালের সর্ববৃহৎ গবেষনা ও উদ্ভাবনী কর্মসূচি ‘হরাইজন ২০২০’, এর তহবিলের পরিমান ৮০ বিলিয়ন ইউরো।