ভাঙ্গায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত অর্ধশত

ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ দুজন নিহত ও কমপক্ষে ৫০ যাত্রী আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- বাসচালক রওশন মিয়া ও মীরাকুণ্ড নামে এক নারী।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভাঙ্গার নওপাড়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি আতাউর রহমান গনমাধ্যমকে এ দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহত ৫০ জনকে প্রথমে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গুরুতর আহত ২৫ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

আহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে- রাজবাড়ী জেলার কানাই, সদরপুর থানার মনির হোসেন, মাশরাফি ও নমিতা, নাটোর জেলার শাহ আলম, আলামিন, আরফিন ও পারভীন, মুকসুদপুর থানার তৌহিদ, আলম, সেন্টু, শ্রেয়া, লতিকা, নিত্য ও মিলন, ফরিদপুরের ভাঙ্গার আসমা, মামুন, লিমা, মমতাজ, লিয়াকত ও মৌসুমী, বরিশালের সিয়াম, মুন্নী, শাহীন, লিপু, সালমা ও আবদুল্লাহ, মাদারীপুরের ফারিহা, জুঁই ও রাজিয়া।

দুর্ঘটনার পর ঘণ্টাব্যাপী রাস্তার দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়লে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তায় ফের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ফরিদপুরের অ্যাডিশনাল এসপি সাইফুজ্জামান, ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুকতাদিরুল আহমেদ, এএসপি ভাঙ্গা সার্কেল রবিউল ইসলাম, ওসি হাইওয়ে আতাউর রহমান ও ওসি ভাঙ্গা সাইদুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বরিশাল থেকে রাজশাহীগামী তুহিন পরিবহন ও ফরিদপুর থেকে টেকেরহাটগামী লোকাল বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। বাস দুটি সামনের অংশ সম্পূর্ণ দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারকাজ শুরু করেন। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তুহিন পরিবহনের যাত্রী আহত লিমা আক্তার জানান, লোকাল বাসটি উল্টোপাশে এসে আমাদের গাড়িতে ধাক্কা মারে। তখনই চালক নিয়ন্ত্রণ হারায়।

একই বাসের অপর এক যাত্রী জানান, লোকাল বাসের বেপরোয়া চালানো এবং দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই সরু কালভার্ট ব্রিজ হওয়ায় ওই বাসকে সাইড দিতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।