ভারতের নির্বাচনের ভোট গননা চলছে

বুথ ফেরত সমীক্ষা প্রকাশের পর প্রত্যাশিতভাবেই আত্মবিশ্বাসী কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। উত্সবের সমস্ত প্রস্তুতিও সারা। লাড্ডুর অর্ডার দেওয়া থেকে গেরুয়া আবির, বাজি- যাবতীয় উপকরণ মজুত করে রেখেছেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। বিরোধী শিবির তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে। কিন্তু কর্মীদের মনোবল ধরে রাখতে বুথ ফেরত সমীক্ষায় নজর না দেওয়ার আহ্বানও করেছেন বিরোধী নেতানেত্রীরা। এদিনও কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী।

ফলাফল যাই হোক না কেন, সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন ঠাঁই পেতে চলেছে ইতিহাসের পাতায়। প্রথমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভোটের কায়দায় চলেছে ভোটপর্ব। মোদীর পক্ষে অথবা বিপক্ষে ভোট ছিল শাসক-বিরোধীদের প্রচারের মূল ইস্যু। নরেন্দ্র মোদীর মুখকে সামনে রেখে নির্বাচনে নেমেছিল বিজেপি। অন্যদিকে খাতায়-কলমে মহাজোট বাস্তবের জমিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে। বাংলায় শেষ মুহূর্তে ভেস্তে গিয়েছে সিপিএম-কংগ্রেস জোট। উত্তরপ্রদেশে আবার কংগ্রেসকে বাইরে রেখে জোট বেঁধেছিলেন অখিলেশ-মায়াবতী। আর তাই উত্তরপ্রদেশেই শঙ্কায় গেরুয়া শিবির। যদিও বেশিরভাগ বুথফেরত সমীক্ষার আভাস, যোগীর রাজ্যে ততটা লোকসান হচ্ছে না বিজেপির। বরং সেই লোকসান পুষিয়ে যাচ্ছে বাংলা ও ওডিশায়।

জন্মলগ্ন থেকে বাংলায় কার্যত প্রান্তিক শক্তি ছিল বিজেপি। বড়বাজারের পার্টি বলেই ভেংচি কাটত বিরোধীরা। ২০১৪ সালে উত্তরের মোদী ঝড় ঢুকে পড়ে পশ্চিমবঙ্গে। এক লাফে অনেকটাই বেড়ে যায় বিজেপির ভোট। নরেন্দ্র মোদীর সৌজন্যে বাংলায় গেরুয়া শিবিরের জোয়ার আরও তীব্রতা পায়। বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলির কিয়দংশের আভাস, বাংলায় ১০টি আসন পার করতে চলেছে বিজেপি।

জি মিডিয়ার মহা এক্সিট পোলের আভাস, ৩০৮টি আসন পেতে পারে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। অন্যদিকে মাত্র ১১৭টি আসন পেয়ে থাকতে হবে ইউপিএ-কে। অন্য দলগুলি পেতে পারে ১১৭টি আসন।

বুথফেরত সমীক্ষার প্রতিবার খেটে গিয়েছে, এমনটা নয়। বহুবার বাস্তবের সঙ্গে মেলেনি সমীক্ষা। কর্ণাটক নির্বাচনে বিজেপিকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছিল বেশিরভাগ বুথফেরত সমীক্ষা। কিন্তু তা মেলেনি। বরং সংখ্যাগরিষ্ঠতার আগে থমকে যায় গেরুয়া শিবির। বুথ ফেরত সমীক্ষা থেকে ভোটারদের মনোভাবের একটা ধারনা মেলে। অতীতেও ২০০৪ সালে বাজপেয়ীর সরকারের প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছিল বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন মনমোহন সিং। সেবার বুথফেরত সমীক্ষার হিসেবনিকেশ গুলিয়ে দিয়েছিলেন ভোটাররা।