ভারতে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’, গাছ ও ইলেকট্রিক পিলার ভেঙে পড়ছে রাস্তায়

ভারতে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’। ভারতীয় দৈনিক ইন্ডিয়া ট্যুডে এক প্রতিবেদনে বলছে, অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে তীব্র বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ফলে রাস্তার দু’ধারে উপড়ে পড়েছে গাছ এবং ইলেকট্রিক পিলার।

বৃহস্পতিবার সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৯০ থেকে ২০১ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে যা তিনটি হ্যারিকেনের সমান। সেই সঙ্গে চলছে তুমুল বৃষ্টি।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রস্তুত রয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। ঝড়ে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রাণ বাঁচাতে নিরাপদে আশ্রয় নিচ্ছেন সবাই।

কাকদ্বীপের উপকূলীয় থানা এলাকাগুলোতেও জারি করা হয়েছে সতর্কতা। উপকূলীয় এলাকায় কাঁচা বাড়ির বাসিন্দাদের ইতোমধ্যেই ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি শুরু হয়ে হয়েছে। প্রতিটি ব্লকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।

মাঝি, পর্যটক ও বাসিন্দাদের সতর্ক করতে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় দফায় দফায় চলছে মাইকিং। পর্যটকরা যাতে সুমদ্রে নামতে না পারেন, সেই জন্য ফ্রেজারগঞ্জে কোস্টাল থানার পক্ষ থেকে চলছে নজরদারি।

এদিকে ফণির সম্ভাব্য তাণ্ডব মোকাবেলার প্রস্তুতি পর্যালোচনা করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জরুরি বৈঠকে বসেছেন। ভারতের মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনী (এনডিআরএফ) ও জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা বৈঠকে ফণির ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় নেয়া প্রস্তুতির ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদিকে অবগত করেন।

ঝুঁকিপ্রবণ রাজ্যের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করতে মোদি তার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সম্ভাব্য সব ধরনের প্রস্তুতি ও কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃহস্পতিবার সকালে ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশার পুরী উপকূল থেকে মাত্র ৪০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। শুক্রবার বিকেলের দিকে পুরী শহরের দক্ষিণ উপকূলে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ৩০০ কিলোমিটার ব্যাসের ঘূর্ণিঝড় ফণী শুক্রবার ভারতের ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করে সন্ধ্যার দিকে খুলনাসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে পৌঁছাতে পারে। তবে ঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলে দেখা দিতে পারে শুক্রবার সকাল থেকেই।

আজকের বাজার/এমএইচ