ভুয়া বিচ্ছেদের খবরে চটেছেন প্রিয়াঙ্কা-নিক

বিয়ের মাত্র কয়েকমাসের মধ্যেই প্রিয়াঙ্কা-নিকের সম্পর্ক নাকি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। প্রিয়াঙ্কা-নিক দুজনের ঘনিষ্ঠ সূত্রকে উদ্ধৃত করে ‘ওকে!’ ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সব কিছু নিয়েই নাকি ঝগড়া চলছে দম্পতির। কাজ, পার্টি ও সময় কাটানো নিয়ে চলছে লড়াই। তাড়াহুড়োর কারণেই দুজনেই বিবাহ সঙ্কটে। মার্কিন এই খ্যতনামা ম্যাগাজিনে কভার হেডে লেখা হয় ”বিয়ের ১১৭ দিনের মধ্যেই বিচ্ছেদ!”

আর এই খবরেই নাকি বেজায় চটেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও নিক জোনাস। দম্পতির জনসংযোগ আধিকারিকের তরফে জানানো হয়েছে, এধরনের ভুয়ো খবরে ভীষণই বিরক্ত প্রিয়াঙ্কা-নিক। খুব শীঘ্রই ‘ওকে’ ম্যাগাজিনের কাছে আইনি চিঠি পাঠাবেন তাঁরা। এধরনে খবরে প্রিয়াঙ্কা-নিকের ইমেজ নষ্ট হয়েছে তাই মানহানির জন্য মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণও চাওয়া হতে পারে।

প্রসঙ্গত ‘ওকে’ ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। প্রিয়াঙ্কা-নিকেপ বেভারলি হিলসের বাংলোয় নাকি ঝড় উঠেছে নিক ও প্রিয়াঙ্কার মধ্যে নাকি সবকিছু নিয়েই ঝগড়া চলছে। ঘনিষ্ঠ সূত্রের উল্লেখ করে ‘ওকে!’ দাবি করেছে, বিয়ের আগে বান্ধবী হিসেবে প্রিয়াঙ্কাকে বেশ সরল ও আধুনিক মনে হয়েছিল নিক জোনাসের। কিন্তু বিয়ের পর থেকে তাঁর উপরে নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করেছেন প্রিয়াঙ্কা। এমনকি মাঝমধ্যে রেগেও যান দেশি গার্ল।

ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, নিক জোনাসের পরিবারও নাকি প্রিয়াঙ্কাকে নিয়ে খুশি নয়। নিকের পরিবার ভেবেছিল, প্রিয়াঙ্কা বুদ্ধিমতি ও পরিণত মহিলা। বয়সে বড় হওয়ার কারণে সন্তান নিয়ে ঘরসংসার সামলাবেন তিনি। তবে এখনও ২১ বছরের তরুণীর মতো পার্টি করেন প্রিয়াঙ্কা। এমনকি নিক জোনাসের পরিবার নাকি মনে করে, তিনবার বিয়ের অনুষ্ঠান করে অযথা ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নষ্ট হয়েছে। এমনকি প্রিয়াঙ্কা নাকি নিককে শুধুই টাকার জন্য বিয়ে করেছেন বলেও লেখা হয়। যাতে প্রিয়াঙ্কার ইমেজে দাগ লাগছে, তাঁর ভালোবাসা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বলে মনে করছে দেশ গার্লের জনসংযোগ আধিকারিক। আর সেকারণে ‘ওকে’ ম্যাগাজিনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে চলেছেন প্রিয়াঙ্কা-নিক।