ভূমধ্যসাগর থেকে ১৭১ জন বাংলাদেশী উদ্ধার

লিবিয়া উপকূলে নৌকায় করে ইউরোপ যাত্রাকালে দেশটির কোস্ট গার্ড ২০০ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে। এরমধ্যে ১৭১ জন বাংলাদেশী রয়েছেন। এ সম্পর্কে লিবিয়াস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ সেকান্দর আলী বলেন, দালালদের খপ্পরে পড়ে তারা দেশ ছেড়ে ছিল।

পরে এসব অভিবাসীকে ত্রিপোলির উপশহর জানজুর এবং আবু সেলিম ডিটেনশন সেন্টারে হস্তান্তর করা হয়। ৩১শে অক্টোবর বাংলাদেশের দূতাবাসের তরফে জানজুর ডিটেনশন সেন্টার পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকালে ৪৩ জন বাংলাদেশী নাগরিককে সেখানে পাওয়া যায়। এই সেন্টারে আটক সকল বাংলাদেশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের সময় তারা জানায়, ১৭১ জন বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন দেশের আনুমানিক ২০০ জন অভিবাসী লিবিয়ার জোয়ারা উপকূল থেকে ২৯শে অক্টোবর একটি কাঠের নৌকায় করে ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।

তারা জানায়, মানবপাচারকারীদের সহায়তায় ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশ্যে লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করে। আবু সেলিম ডিটেনশন সেন্টারের পার্শ্ববর্তী এলাকায় জেনারেল খলিফা হাফতারের বাহিনী বিমান হামলা পরিচালনা করায় বাংলাদেশের কূটনীতিকরা সেখানে যেতে পারেননি। তবে দূতাবাসের তরফে যোগাযোগ করা হলে একজন কর্মকর্তা জানান, ১২৮ জন বাংলাদেশীকে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভূমধ্যসাগরে একটি নৌকা থেকে একসাথে ১৭১ জন বাংলাদেশী উদ্ধার বিগত কয়েক বছরের মধ্য সবচেয়ে বড় ঘটনা।

লিবিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানান, উদ্ধারকৃত ১৭১ জন বাংলাদেশী নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
সূত্র:ভিওএ

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান