ভোমরা স্থলবন্দরে সাড়ে ১৫ হাজার যাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে করোনাভাইরাস ঝুঁকি নির্ণয় কেন্দ্র এ পর্যন্ত ১৫ হাজার ৬৪৭ জন পাসপোর্ট যাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চারদিন আগে থেকে ভারতীয় ট্রাক চালক ও চালকের সহকারীদেরকে শারীরিক পরীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পৃথক দুটি মেডিকেল টিম ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারী যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে।

সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আনিসুর রহিম বলেন, সাতক্ষীরায় জল ও স্থল মিলে প্রায় ২৩৮ কিলোমিটার ভারতীয় সীমান্তপথ রয়েছে। চোরাইপথে প্রতিদিন শত শত মানুষ এই সীমান্ত দিয়ে ভারতে আসা-যাওয়া করে থাকে। এদেরকেও স্বাস্থ্য পরীক্ষার আওয়ায় কিভাবে আনা যায় সেটি সরকারকে ভাবতে হবে। শুধু পাসপোর্ট যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলে চলবে না। স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি সীমান্তে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও নজরদারি বাড়াতে হবে।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. হোসাইন শাফায়াত বলেন, ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আগত যাত্রীদের নাক লাল, সর্দি-কাশি, হালকা জ্বর ও শ্বাসকষ্ট এসব উপসর্গ দেখা দিলে তাৎক্ষণিক মেডিকেল টিমের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিটি পাসপোর্টধারী যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত ২৩ জানুয়ারি থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ভোমরা স্থলবন্দরে স্থাপিত মেডিকেল টিম ১৫ হাজার ৬৪৭ জন পাসপোর্ট যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছে। তবে আক্রান্ত কোনো রোগী এখনও শনাক্ত হয়নি।

‘আগে ভারতীয় ট্রাক চালক ও চালকের সহকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়নি। তবে গত ৯ মার্চ থেকে তাদেরকেও স্বাস্থ্য পরীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। এজন্য স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আগে আট জন স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করতো। বর্তমানে ২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মো. মাহবুবার রহমান ঝুঁকি নির্ণয় কেন্দ্র তদারকি করছেন,’ যোগ করেন তিনি।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, করোনা একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এখনও এই রোগের তেমন কোনো ওষুধ তৈরি না হওয়ায় প্রতিরোধের মাধ্যমে এটিকে মোকাবিলা করতে হবে। একেবারেই নতুন এই ভাইরাস সম্পর্কে সাধারণ জনগণকে সঠিক ধারণা দিতে পারলে এই রোগের প্রকোপ কমবে।

 

 

তিনি এ ব্যাপারে সকলকে সচেতন থাকার আহ্বান জানান। তথ্য-ইউএনবি

আজকের বাজার/শারমিন আক্তার