ভোলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিন

জেলায় কৃষকদের ধান কাটার জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আধুনিক কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিন। কম খরচ ও স্বল্প সময়ে অধিক জমির ধান কাটতে কৃষকরা অত্যাধুনিক এ যন্ত্রের দিকে ঝুঁকছেন। এতে করে কৃষকদের ধান কাটার শ্রমিক খোঁজার ঝামেলা পোহাতে হচ্ছেনা। কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিনে শুধু ধান কাটাই নয়, এক সাথে ধান মাড়াই, ঝাড়াই এবং সংগ্রহ হয়। আর কৃষিকাজে এমন উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে খুশি সাধারণ কৃষকরা।

কৃষকরা জানান, এক সময়য়ে মাঠে ধান পাকলেই দ্রæত ধান কাটার চিন্তায় থাকতে হতো কৃষকদের। মাঠের ধান কাটার জন্য সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গ্রাম থেকে গ্রামে শ্রমিক খুঁজতে হতো। শ্রমিক পাওয়া গেলেও মুজরী ও খরচ বেশি হওয়ায় অনেক সময় ক্ষেতের পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়তো কৃষকরা। বর্তমানে মাঠের ধান কাটা, ধান মাড়াই, ঝাড়াই ও সংগ্রহের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে আধুনিক কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিন। এতে করে কমে আসছে কৃষিখাতের খরচ। দৌলতখান উপজেলার চরলক্ষী গ্রামের কৃষক মোঃ হাফেজ মুন্সি, লতিফ সিকদার ও হানিফ বয়াতী জানান, আগে শ্রমিক দিয়ে মাঠের ধান কাটতে অনেক খরচ গুনতে হতো। প্রতি শ্রমিকের জন্য প্রতিদিনই গুনতে হতো ৭০০-৮০০ টাকা।

তাও আবার শ্রমিক পাওয়া যায়না নিয়মিত। তিনি বলেন, যার কারণে ক্ষেতের ধান নিয়ে বিপাকে পড়তে হতো। কিন্তু বর্তমানে আধুনিক কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিন আসার ফলে ফসলের ক্ষেতের ধান সংগ্রহ, কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই সহজ হয়েছে। একই উপজেলার কৃষক মোঃ রাশেদ হোসেন ও চুন্নু মিয়া জানান, আগে শ্রমিক দিয়ে মাঠের ধানের সব কাজ সম্পন্ন করতে একর প্রতি ১১/১২ হাজার টাকা খরচ হতো। কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিন আসার ফলে এখন একর প্রতি ৪/৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ দেবনাথ জানান, সাম্প্রতিক সময়ে কৃষি কাজে কিছুটা শ্রমিক সংঙ্কট পরিলক্ষিত হয়। আর কম্বাইন্ড হারভেস্টর মেশিন এমনই এক যন্ত্র যা শ্রমিকদের কাজ করে দেয়। তাই আমাদের কৃষকদের মাঝে এ যন্ত্র ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এছাড়া আমাদের কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ’র ক্ষেত্রে এ মেশিন গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা পালন করছে বলে জানান তিনি। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান