ভোলায় বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল দশম শ্রেণীর ছাত্রী

জেলার উপজেলা সদরের ধনিয়া ইউনিয়নে পুলিশের সহায়তায় বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেলো দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী। রোববার বিকেলে ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে মোস্তফা বেপারীর বাড়িতে মেয়েটির বিয়ে উপলক্ষে গায় হলুদ অনুষ্ঠিত হচ্ছিলো। খবর পেয়ে পুলিশ বিয়ের সব আয়োজন বন্ধ করে দেয়। এ সময় পুলিশ কনের বাবা কামাল হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হলে বিয়ে দিবেন না এ মর্মে অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর করে তিনি মুক্তি পান।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, ধনিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মোস্তফা বেপারী বাড়ির হোটেল কর্মচারী কামাল হোসেন’র মেয়ে হাফছা আক্তার(১৫)। হাফছা স্থানীয় আল হেরা দাখিল মাদ্রাসায় দশম শ্রেণীর ছাত্রী। তার বিয়ে দেয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী বাপ্তা ইউনিয়নের এক অটো(থ্রী-হুইলার)ড্রাইভারের সাথে বিয়ে ঠিক করে তার পরিবার। তাই বিয়ের আগে রোববার মেয়ের বাড়িতে গায় হলুদ এর আয়োজন করা হয়।

বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে ভোলা মডেল থানা পুলিশের একটি দল মেয়ের বাড়িতে হাজির হয়। এ সময় গায় হলুদের আয়োজন বন্ধ ও কনের বাবা কামাল হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। আর মেয়ের মা বাল্য বিয়ের কুফল বুঝতে পেরে মেয়েকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দিবেনা বলেন প্রতিশ্রুতি দেন এবং মেয়েকে পড়াশোনা করাবেন বলে জানায়। ভোলা মডেল থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান, বাল্য বিয়ে রোধে আমরা পুলিশ প্রশাসন জিরোটলারেন্স। কোথাও কোন বাল্য বিয়ের কথা শুনলে পুলিশের পক্ষ থেকে তা বন্ধ করে দেই এবং পরিবারকে সচেতন করি বাল্য বিয়ে না দেয়ার জন্য। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান