ভোলায় ৩ লাখ ১৬ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে

জেলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় ঝুঁকিতে থাকা ৩ লাখ ১৬ হাজার ৫০৯ জন মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হয়েছে। মোট ১ হাজার ৪টি সাইক্লোন শেল্টারে অবস্থান করছে তারা। একইসাথে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫৩৮টি গবাদি পশুকে নিরাপদে রাখা হয়েছে।
গতকাল থেকেই বিচ্ছিন্ন ২১টি চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদে আনতে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে ছিটানো হয়েছে জীবনু নাশক স্প্রে।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় পরবর্তি সময়ের জন্য নেয়া হয়েছে নানান পদক্ষেপ। জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ আলম সিদ্দিক আজ সকাল ১০টায় বাসস’কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, দূর্যোগ মোকাবেলায় পুলিশ, কোস্টগার্ড, আনসারসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় নেয়া মানুষের জন্য ইফতার, রাতের খাবার ও সেহেরীর খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ঘূণিঝড় পরবর্তি সময়ের করণীয় সম্পর্কে সরকারি বিভিন্ন বিভাগকে নির্দেশনা দেয়া রয়েছে। আজ দুপুর ২টার মধ্যে ঝুঁকিতে থাকা সকলকে নিরাপদে আনার জন্য কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলায় প্রাথমিকভাবে ৭ লাখ টাকা, ২০০ মে. টন চাল ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পাশাপিশ এই দূর্যোগে মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ৭৯ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। একইসাথে প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে টিম গঠন করা হয়েছে, যারা স্ব-স্ব উপজেলার শিশু, বয়স্ক, মহিলা, গর্ভবতী ও অন্যান্য অসহায়দের উদ্ধারে কাজ করবে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গত রাত থেকেই জেলা ঝড়ো হাওয়াসহ থেমে-থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেইসাথে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। আজ সকাল থেকে বাতাসের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পায়। সমূদ্র ও নদী তীরবর্তী এলাকাসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং এর মাধ্যমে জনসাধারণকে নিরাপদে থাকার জন্য বলা হচ্ছে।