ভ্যালেন্সিয়ার কাছে হারল চেলসি

লিভারপুলের মতো হার দিয়ে ইউরোপ সেরার লড়াই শুরু করল চেলসি৷ মঙ্গলবার ঘরের মাঠে ভ্যালেন্সিয়ার কাছে হারে ‘দ্য ব্লুজ’৷

স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে স্প্যানিশ ক্লাবটির কাছে ০-১ গোলে হারে ফ্র্যাঙ্ক ল্যামপার্ডের দল৷ দলের পারফরম্যান্সে হতাশ চেলসি ম্যানেজার৷ ম্যাচ শেষে ল্যাম্পার্ড বলেন, ‘আমরা অনেক সুযোগ পেয়েছিলাম৷ হতে পারে সেগুলো দারুণ সুযোগ নয়, কিন্তু তা থেকেও আমাদের গোল করা উচিত ছিল৷ পেনাল্টি মিস করায় আমাদের মূল্য চোকাতে হল৷ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এর থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে৷ তবে আশা করব গ্রুপের বাকি পাঁচটি ম্যাচে আমরা ভালো করব।

শুরু থেকে অবশ্য ভ্যালেন্সিয়ার উপর চাপ তৈরি করে চেলসি। এক সময় নিজেদের একরকম গুটিয়ে রেখেছিল স্প্যানিশ দলটি। অষ্টম মিনিটে প্রথম সুযোগও তৈরি করে ল্যাম্পার্ডের দল। আসপিলিকুয়েতার ক্রসে ট্যামি আব্রাহামের চেষ্টা কর্নারের বিনিময়ে ব্যর্থ করে দেন ইয়াসপের সিলেসেন।

কিন্তু ধীরে ধীরে ম্যাচ ফেরার চেষ্টা করে ভালেন্সিয়া৷ প্রতি-আক্রমণে চেলসির রক্ষণে চাপ সৃষ্টি করে স্প্যানিশ ক্লাবটি। যদিও প্রথমার্ধে কোনও দলই গোল পায়নি৷ দ্বিতীয়ার্ধে অর্থাৎ ম্যাচের ৬২ মিনিটে মার্কোস আলোনসোর ফ্রি-কিক ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন ভালেন্সিয়া গোলরক্ষক সিলেসেন।

আক্রমণে আরও শক্তি বাড়াতে ৭৩ মিনিটে ডিফেন্ডার কার্ট জুমার জায়গায় অলিভিয়ে জিরুদকে নামান ল্যাম্পার্ড। এর পরের মিনিটেই গোল হজম করে চেলসি। রদ্রিগের গোলে এগিয়ে যায় ভ্যালেন্সিয়া। পারেহোর বুদ্ধিদীপ্ত ফ্রি-কিকে ছুটে গিয়ে প্রথম স্পর্শে জালে পাঠান এই তরুণ ফরোয়ার্ড।

তবে ম্যাচ সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল চেলসি৷ ফিকায়ো টোমোরির হেডে বল ড্যানিয়েল ভাসের হাতে লাগলে৷ ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেন রেফারি। শট নিতে চেয়েছিলেন উইলিয়ান। কিন্তু পেনাল্টি নেন বার্কলি। তাঁর বুলেট গতির শট ক্রসবারে লেগে বাইরে চলে যায়। বাকি সময়ে আর সমতা ফেরাতে পারেনি চেলসি।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান