মঙ্গলে প্রথম অবতরণকারী নারী হওয়া উচিত

নাসার একজন জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী বলেছেন, মঙ্গলগ্রহে প্রথম অবতরণকারী একজন নারী হওয়া উচিত। অ্যালিসন ম্যাকলিনটায়ার নামে ঐ বিজ্ঞানী বলছেন এতদিন পর্যন্ত যত জন চাঁদে গেছেন তাদের ১২ জনই ছিলেন পুরুষ। তার মতে, মেয়েদের সামনে আনা উচিত এবং যেদিন কোন মানুষকে তারা মঙ্গল গ্রহে পাঠাবেন, তার নারীই হওয়া উচিত।

টেক্সাস এবং ফ্লোরিডাতে নাসার ‘বিহাইন্ড দ্যা সিন’ তৈরি করছে বিবিসি রেডিও ফাইভ লাইভ। তারা একবিংশ শতাব্দীতে মহাকাশ গবেষণায় যেসব নারীরা সামনের দিকে রয়েছে – তাদের সাথে সাক্ষাত করেছে।

প্রায় অর্ধশত বছর আগে রাশিয়া প্রথম একজন নারীকে মহাকাশে প্রেরণ করেন। আর ৪০ বছর আগে নাসা প্রথম নির্বাচন করে একজন নারী নভোচারীকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন নারী চাঁদে যাননি।

নভোচারীদের জন্য বিশাল এক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালান অ্যালিসন ম্যাকলিনটায়ার। তার অফিসে বসে তিনি বিবিসির টিমের সাথে কথা বলেন, হিউস্টনে জনসন স্পেস সেন্টারে অ্যালিসনের অফিসে একটা জানালা রয়েছে যেখান থেকে মহাকাশ যানের বিভিন্ন মডিউল তৈরির ভবনটির দারুণ দৃশ্য দেখা যায়। বিশাল এই ভবনে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের এমন ধরণের সব মডিউল রয়েছে – যাতে করে নভোচারীরা মহাকাশে যাওয়ার আগে প্রশিক্ষণ নিতে পারে। অ্যালিসন এই ফ্যাসিলিটির প্রধান। তিনি নাসাতে ৩০ বছর ধরে আছেন এবং এই সময়ে অনেক পরিবর্তন হয়েছে – বলে তিনি জানিয়েছেন।

তিনি বলছিলেন “আমার সেন্টার পরিচালক একজন নারী, আমার সাবেক ডিভিশন প্রধান ছিলেন একজন নারী, আমাদের নারী নভোচারীও রয়েছেন – কিন্তু আমরা এখনো পর্যন্ত একজন নারীকে চাঁদে পাঠাতে পারিনি। “আমি মনে করি মঙ্গলে প্রথম যিনি যাবেন তিনি একজন নারী হওয়া উচিত”।

নাসার একজন নারী নভোচারী কারেন নেইবার্গ ইতিমধ্যে ছয় মাসের বেশি সময় মহাকাশে কাটিয়েছেন। তিনি বলছিলেন “আমাকে যখন ২০০০ সালে প্রথম নভোচারী হিসেবে বেছে নেয়া হলো, তখন আমি ভেবেছিলাম একটা বাস্তব সম্ভাবনা তৈরি হলো যে আমরাই হয়ত পরবর্তীতে চাঁদে যাবো। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় যে আমরা সে সুযোগটা পাই নি”।

নারীরা আদৌ চাঁদে যেতে পারবে কিনা এমন প্রশ্ন করলে, কারেন বলেন – “এটা হবে । তবে এখানে অনেক রাজনীতি চলে, প্রচুর অর্থের দরকার। সুতরাং বিষয়টা যে খুব দ্রুত হবে সেটা মনে হচ্ছে না, তবে একদিন অবশ্যই হবে”। বিবিসি

আজকের বাজার/ এমএইচ