মহানবী (স.)-এর শিক্ষা সমগ্র মানব জাতির অনুসরণীয়: রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী (সা.) এর শিক্ষা সমগ্র মানব জাতির জন্য অনুসরণীয়।

আগামীকাল ২১ নভেম্বর পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে দেশবাসীসহ মুসলিম উম্মাহ’র সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান।

তিনি বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) বিশ্ববাসী বিশেষত মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র, তাৎপর্যপূর্ণ এবং মহিমান্বিত দিন। মহান আল্লাহ তা’আলা সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত হিসেবে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে এ জগতে প্রেরণ করেন। দুনিয়ায় তাঁর আগমন ঘটেছিল ‘সিরাজাম মূনিরা’ তথা আলোকোজ্জ্বল প্রদীপরূপে। তৎকালীন আরব সমাজের অন্যায়, অবিচার, অসত্য ও অন্ধকারের বিপরীতে তিনি মানুষকে আলোর পথ দেখান এবং সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সর্বশেষ মহাগ্রন্থ পবিত্র কোরানে তাঁর ওপর অবতীর্ণ করে জগতে তাওহীদ প্রতিষ্ঠার গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেন। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অসীম ধৈর্য, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও সীমাহীন ত্যাগের মাধ্যমে তিনি শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠায় সফল হন।

তিনি বলেন, আল্লাহর প্রতি অগাধ প্রেম ও ভালোবাসা, অনন্যসাধারণ ব্যক্তিত্ব, অনুপম চারিত্রিক গুণাবলী, অতুলনীয় বিশ্বস্ততা, অপরিমেয় দয়া ও মহৎ গুণের জন্য তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হিসেবে অভিষিক্ত।

আবদুল হামিদ বলেন, বিশ্বের ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান ‘মদিনা সনদ’ ছিল মহানবী (সা.) এর বিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতার প্রকৃষ্ট দলিল। এ দলিলে জাতি,ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সার্বজনীন ঘোষণা রয়েছে।

মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ আমাদের সকলের জীবনকে আলোকিত করুক, সকলের চলার পথের পাথেয় হোক, রাষ্ট্রপতি মহান আল্লাহর কাছে এ প্রার্থনা করেন।

তিনি বলেন, মহান আল্লাহ সকলকে মহানবী (সা.) প্রদর্শিত সত্য ও সুন্দরের পথে চলার তৌফিক দিন। তথ্যসূত্র-বাসস

আজকের বাজার/এমএইচ