মহেশখালের বাঁধ অপসারণ কাজ শুরু

চলতি মৌসুমের বর্ষণে কয়েকবার চট্টগ্রাম নগরী প্লাবিত হওয়ার পর অবশেষে মহেশখাল বাঁধের অপসারণ কাজ শুরু করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ১৩ জুন বেলা ৩টা ২০ মিনিটের দিকে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ও চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবালের উপস্থিতিতে বাঁধ অপসারণের কাজ শুরু করেন শ্রমিকরা।

এসময় সিটি মেয়র আ জ ম নাছির সাংবাদিকদের বলন, জনগণের দাবির মুখে বাঁধটি অপসারণ করা হচ্ছে। অপসারণের কাজ পুরোপুরি শেষ করতে দুই থেকে তিনদিন সময় লাগবে।

জোয়ার নেমে গেলে বিকাল ৩টার দিকে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সিটি করপোরেশন যৌথভাবে বাঁধটির অপসারণ কাজ শুরু করবে বলে এর আগে দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন মেয়র নাছির।

নগরীর বৃষ্টির পানি নামার অন্যতম পথ মহেশখালে বন্দর রিপাবলিক ক্লাব সংলগ্ন অংশে ২০১৫ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রামের নগর পরিকল্পনাবিদদের বিরোধিতা উপেক্ষা করেই বাঁধটি নির্মাণ করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এই পথ দিয়ে বৃষ্টির পানি কর্নফুলী নদীতে নেমে যাওয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ায় প্রতি বর্ষায় বেশ কয়েকবার তলিয়ে প্রায় পুরো চট্টগ্রাম নগরীর বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

বাঁধ নির্মাণের পর থেকেই এর উজানের ২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদ, ৩৬ নম্বর গোসাইলডাঙ্গা, ৩৭ নম্বর উত্তর মধ্যম হালিশহর এবং ৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহরের বাসিন্দারা এর বিরোধিতা করে আসছেন।

এরপর বাঁধ অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে নামেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

গত বছরের ২১ মে বাঁধ খুলে দিতে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর সেখানে পুলিশ প্রহরা বসানো হয়।

গত ৩০ মে ঘূর্ণিঝড় মোরার পর শুরু হওয়া বৃষ্টির প্রভাবে বাঁধের উজান ও ভাটির দুইপাশের মানুষই তিন দিন জলাবদ্ধ ছিল। সেসময় বাঁধ অপসারণের দাবি আরও জোরালো হলে ১ জুন নগর ভবনের এক বৈঠকে বাঁধটি অপসারণের ঘোষণা দেন মেয়র নাছির।

সেই ঘোষণার পর সোমবার থেকে আবার জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হলে মহেশখালের বাঁধ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা ও ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করেন নগরবাসী।

এরপরই সোমবার রাতে বাঁধটি অপসারণের বিষয়টি সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়।

আজকের বাজার: আরআর/ ১৩ জুন ২০১৭