মাতারবাড়িতে বৃহৎ জ্বালানী অবকাঠামো উন্নয়ন করবে সামিট এবং জিরা এশিয়া

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নির্ধারিত ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এবং ‘রূপরেখা ২০৪১’ অর্জনে- সামিট কর্পোরেশন এবং জিরা-এশিয়া একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জাপানে রাষ্ট্রীয় সফরকালে জাপানের টোকিওতে নিউ ওটানি হোটেলে এই সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এই সমঝোতা স্মারক অনুসারে, সামিট এবং জিরা-এশিয়া কক্সবাজারের মাতারবাড়ি এলাকায় একটি বৃহৎ জ্বালানি অবকাঠামো প্রকল্প উন্নয়ন করবে যার আওতায় রয়েছে বার্ষিক ২০ মিলিয়ন টন মালামাল সরবরাহের ক্ষমতা।  সামিট গ্রুপের পরিচালক ফয়সাল খান এবং জিরা এশিয়ার সিইও তোসিরো কুদামা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এই সমঝোতা স্মারকটি সই করেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদয় উপস্থিতিতে এই সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়। এসময় অন্যান্য বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, এমপি, মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার  আলম এমপি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ নজিবুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক এবং মিডি (মহেশখালি-মাতারবাড়ি ইনটিগ্রেটেড ইনফ্রাস্ট্রকচার ডেভেলপমেন্ট ইনিসিয়াটিভ) এর চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ, জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা এবং সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান।

এই বৃহৎ অবকাঠামো প্রকল্পটির আওতায় কার্গো এবং প্রাথমিক জ্বালানির বিভিন্ন টার্মিনাল উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যবসা জোরদার করবে। সামিট, জিরা-এশিয়া এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে সম্পাদিত এই  প্রকল্প চুক্তিটির বাস্তবায়ন আগামী দুই বছরের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে যাতে বিনিয়োগ করা হবে আনুমানিক ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশী।

সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, “জিরা-এশিয়ার সাথে সামিটের এই প্রকল্পটি আগামী বছরগুলোতে  উন্নত সাপ্লাই চেইন এবং হ্যান্ডলিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের বহু বিলিয়ন ডলার সঞ্চয়ের সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচিত করবে, এর মাধ্যমে বাংলাদেশ তার প্রতিটি লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে।”

জিরা-এশিয়া’র সিইও তোসিরো কুদামা বলেন, “এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে আমরা একত্রে বাংলাদেশে জ্বালানি অবকাঠামো উন্নয়নে আরো গতিশীল করবো। আমাদের বিনিয়োগ, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং অভিজ্ঞ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জিরা-এশিয়া সম্মিলিতভাবে কাজ করবে আমাদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ দেশ বাংলাদেশর জন্য ।”